স্টাফ রিপোর্টার : ব্রিটেনে তারেক রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয়া সরকারের একটি চমক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

রবিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির তৃতীয় তলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সব সময় একটা চমক দেখানোর চেষ্টা করে থাকেন, তেমনি ব্রিটেনে তারেক রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয়া সরকারের একটি চমক। জোবায়দা রহমান যাতে দেশে না আসতে পারে এবং তারেক রহমানের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য এমন একটি নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের ব্রিটেনের একটি ব্যাংকের তিনটি হিসাব জব্দের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের এ-সংক্রান্ত একটি পারমিশন মামলার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।

ফ্রিজ করার আদেশ হওয়া তিনটি ব্যাংক হিসাবই ব্রিটেনের স্যান্টান্ডার ব্যাংক ইউকের।

পারমিশন মামলার আবেদনে বলা হয়, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং এবং অর্থপাচারপূর্বক বিদেশে বিনিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধানকালে দুদক কর্তৃক তদন্ত টিম গঠন করা হয়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ব্রিটেনের স্যান্টান্ডার ব্যাংক ইউকে পরিচালিত হোয়াইট অ্যান্ড ব্লু কনসালট্যান্ট লিমিডেট শীর্ষক প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে তারেক রহমান এবং জোবাইদা রহমানের তিনটি ব্যাংক হিসাবে ৫৯ হাজার ৩৪১ দশমিক ৯৩ ব্রিটিশ পাউন্ড স্থানান্তরের এফআইইউ, ইউকের নির্দেশে আটক আছে।

উক্ত অর্থ তারা অন্যত্র হস্তান্তর বা রূপান্তরের চেষ্টা করছেন। বর্ণিত অর্থের বিষয়ে এক্ষুণি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৭ ধারা মতে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৪ ধারা মতে অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, পারমিশন মামলার আদেশটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্রিটেনের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে পাঠানো হবে। সেখানে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পাঠিয়ে আদেশ কার্যকর করবেন।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২১, ২০১৯)