রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কোলা পয়েন্টে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ পাঁচ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে দু’ শতাধিক মৎস্য ঘের। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। 

সোমবার ভোরে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের পরিমল মন্ডলের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

এতে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলা গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। দুপুরের জোয়ারে নদীবাঁধ আরো ভেঙে যেয়ে শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা, কলিমাখাািল ও হাজরাখালি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে দু’ শতাধিক ছোট বড় মৎস্য ঘের। ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে পানিবন্দী বেশকিছু কাঁচা ঘর-বাড়ি।

স্থানীয় পরিমল মন্ডল ও নরেন্দ্রনাথ মণ্ডলসহ কয়েকজন জানান, সোমবার ভোরে তাদের বাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বেশ কিছুটা ধ্বসে নদীগর্ভে চলে যায়। এসময় প্রবল বেগে পানি ঢুকে ঘের অধ্যুষিত কোলা ও হিজলা গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের তোড়ে প্রতাপনগর ইউনিয়নের আরও কয়েকটি গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী শ্রীউলা ইউনিয়নও প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দেয় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সকালে বাধ মেরামতের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

দুপুরের জোয়ারের তোড়ে বেড়িবাঁধ ভাঙন বৃদ্ধি হয়ে শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা, কলিমাখাািল ও হাজরাখালি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। রাতের মধ্যে ভাঙন মেরামত করা না গেলে রাতের জোয়ারে প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের আরো কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, স্থানীয় জনগণকে নিয়ে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, খোলপেটুয়া নদীর বেশ কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেও কাজ হয় না। বাঁধ না ভাঙলে তারা এলাকায় আসে না, কাজ হওয়া তো দূরের কথা।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

(আরকে/এসপি/এপ্রিল ২২, ২০১৯)