স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্র যদি খেলাপি নীতি অনুসরণ করে তাহলে ঋণ খেলাপিরা সুবিধা নেবেই -বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, বড় বড় ঋণ খেলাপিরা রাষ্ট্রীয় আনুগত্য পেয়ে অর্থনীতির ক্ষতি করছে। রাষ্ট্রকে খেলাপি সংস্কৃতি থেকে মুক্ত হতে হবে। তাহলে ঋণ খেলাপিরা ঋণ নিয়ে পার পেতে পারবে না। ঋণ খেলাপি সংস্কৃতির কারণে প্রকৃত বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কৃষি উৎপাদনের জন্য কৃষকরা ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়েন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহামতি লেনিন-এর ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর শাখা ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, কৃষকদের খেলাপি ঋণ আদায়ে সরকার কঠোরতম অবস্থান গ্রহণ করে থাকে এবং কৃষকদের নামে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করে। এতে অনেক কৃষক সর্বশান্ত হয়ে পড়ে। খেলাপি ঋণের ব্যাপারে সরকারকে সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, কমরেড লেনিনের অনুসৃত পথ ধরে ইউরোপের দুর্বলতম পুঁজিবাদী দেশ রাশিয়া রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যে নজির স্থাপন করেছিলেন তা আজও সকলের কাছে স্মরণীয়। লেনিন আজও বিশ্ববাসীর কাছে প্রাসঙ্গিক। কারণ, লেনিন রাজনীতি ও অর্থনীতির যে পথ অনুসরণ করেছিল সেই পথেই মানুষের উপর মানুষের শোষণ, নিপীড়ন ও বৈষম্য দূর করা সম্ভব।

তিনি বলেন, বর্তমান উদারনৈতিক পুঁজিবাদী বিশ্ব ব্যবস্থায় মানুষকে শোষণের দাসত্বের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এখান থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হলে লেনিনের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

মেনন বলেন, লেনিন কোনো গোড়ামিবাদে বিশ্বাসী ছিলেন না, তিনি ছিলেন সৃজনশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। লেনিন বিশ্বের শোষিত, নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের নেতা। তিনি পুঁজিবাদী শোষণ ও বৈষ্যমের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিশ্বে প্রথম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত করেন। যা আজও বিশ্বের দেশে দেশে অনুসরণ করে চলেছে। কমরেড লেনিন যুগ যুগ জিও।

ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অধ্যাপক ড. সুশান্ত দাস, অধ্যাপক ড. শফিকুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই কমরেড লেনিন-এর উপর রচিত কবিতা আবৃত্তি করেন মোস্তফা আলমগীর রতন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২২, ২০১৯)