স্টাফ রিপোর্টার : ‘আমার ভাই মাস্টার্সে, আমরা কেন রাজপথে, আমার ভাই পাস, আমরা কেন ফেল? হৈ হৈ রৈ রৈ ভিসি স্যার গেল কই?’ মিরপুর রোডে নীলক্ষেত মোড়ে প্রখর রোদের মাঝে দাঁড়িয়ে সমস্বরে স্লোগান দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা যাবৎ সড়ক অবরোধ করে স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করলেও শিক্ষার্থীদের ডাকে এখনও সাড়া মেলেনি।

অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ‘ভিসি ও প্রক্টর স্যার এসে তাদের সমস্যার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না দিলে তারা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন না। তাদের আন্দোলনে ইতিবাচক সাড়া না পেলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।’

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বেলা দেড়টা পর্যন্ত অবরোধস্থলে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রক্টর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বিকেল ৩টার পর যেকোনো সময় আসতে পারেন বলে সূত্র জানায়।

পূর্ব ঘোষিত ৫ দফা দাবি আদায়ে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। সকালে প্রথমে মানববন্ধন ও পরে মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা।

এর আগে গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) সেশনজট, ত্রুটিযুক্ত ফলাফলসহ নানা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আন্দোলনের ডাক দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৫ দফা দাবি জানান।

দাবিগুলো হচ্ছে-

১. একসঙ্গে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফলাফল প্রকাশসহ একই বর্ষের সব বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ

২. গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতা পুনঃমূল্যায়ন

৩. সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন

৪. প্রতিটি বিভাগে মাসে দু’দিন করে অধিভুক্ত সাত কলেজে মোট ১৪ দিন ঢাবি শিক্ষকদের ক্লাস নেয়া

৫. সেশনজট নিরসনে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২৩, ২০১৯)