নিউজ ডেস্ক : সোনাগাজীর বিভিন্ন ব্যাংকে সন্দেহ ভাজনদের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ও এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির সদর দফতরের ইকোনোমিক ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন। মঙ্গলবার সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মানিলন্ডারিং বিষয়ে গণমাধ্যম ও বিভিন্ন মাধ্যমে উঠের আসা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। আর্থিক বিষয়ে পাওয়া তথ্য প্রমাণিত হলে মানিলন্ডারিং আইনে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

২৭ মার্চ নুসরাতের ওপর যৌন হয়রানির পর থেকে তার মৃত্যুর পর পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে অনুসন্ধান চলেছে। যদি স্থানীয় কোনো ব্যাংক সন্দেহ ভাজনদের আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে তথ্য গোপনও করেন, তাহলে সেই তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মানিলন্ডারিং শাখার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।

নুসরাত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের কথা উঠে আসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তারই সূত্র ধরে সিআইডি সদর দফতর বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় অনুসন্ধান চালান সিআইডি কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন।

এখন পর্যন্ত আটজন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের মধ্যে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের হোসেন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমীন, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদাক মাকসুদ আলমসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই।

এর আগে টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১০ এপ্রিল বুধবার রাত নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি। পরদিন সকালে ময়তদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকেলে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২৩, ২০১৯)