স্টাফ রিপোর্টার : ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে কমিউনিস্ট-বিপ্লবীরা লড়াই করতে করতে অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তা আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ পর্ব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া ।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই আজও অম্লান, বিপ্লবীদের পথ দেখায়। খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াকু কমরেডরা বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেছেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তারা জেলের মধ্যেও লড়াই করেছেন, জীবন দিয়েছেন। তাদের মতো তেজ, দৃঢ়তা, কমিটমেন্ট নিয়ে কমিউনিস্টদের দাঁড়াতে হবে। সব ধরনের দ্যোদুল্যমানতা, সুবিধাবাদ, আপসকামিতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিপ্লবের লাল ঝাণ্ডা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

বুধবার রাজধানীর শাহজাহানপুরে দলীয় কার্যালয়ে খাপড়া ওয়ার্ড শহীদ দিবস উপলক্ষে জাতীয় গণমুক্তি আন্দোলন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ন্যাপের এই নেতা বলেন, খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই আজও আমাদের উজ্জীবিত করে, পথ দেখায়। ভবিষ্যতের দিশা পেতে খাপড়া ওয়ার্ডের বিপ্লবী ইতিহাস জানা এবং অনুধাবন করা জরুরি। খাপড়া ওয়ার্ডের শহীদ-যোদ্ধাদের আদর্শ, লড়াই ও আত্মত্যাগ থেকে নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা-অধিকার অর্জনের সব লড়াইয়ের ইতিহাসই আগামী প্রজন্মের জন্য পাঠ্যপুস্তকে অর্ন্তভুক্ত করা উচিত। সেই ক্ষেত্রে খাপড়া ওয়ার্ডের বিপ্লবী ইতিহাস তুলে ধরা সময়ের দাবি।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সংগঠনের সমন্বয় কমিটির সদস্য আবদুল হালিম, আবদুল কাইয়ূম মাহমুদ, আফরোজা বেগম, ইমরুল হাসান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে কমিউনিস্ট রাজবন্দীদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে প্রাণ হারান সুধীন ধর, বিজন সেন, হানিফ শেখ, সুখেন্দু ভট্টাচার্য, দেলোয়ার হোসেন, কম্পরাম সিং ও আনোয়ার হোসেন নামে ৭ বিপ্লবী।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২৪, ২০১৯)