গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : এক পুলিশ সদস্য প্রেমিকের প্রতারণার শিকার হয়ে স্ত্রীর মর্যাদা আদায়ের দাবীতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল থেকে ওই পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী। ওই তরুণীর নাম খাদিজা আক্তার আঁখি (২১) এবং পুলিশ সদস্যের নাম জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় ওই তরুণী সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে না নিলে, লাশ হয়ে ফিরে যাব বাবার বাড়িতে। এজন্য বিষের শিশি সঙ্গে নিয়ে এসেছি।’

খাদিজা ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ধূরুয়া গ্রামের কৃষক কাশেম মিয়ার মেয়ে। প্রেমিক পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম (২৬) একই উপজেলার ডৌহাখলার ইউনিয়নের পানাটি গ্রামের শামছুল হকের ছেলে।

খাদিজা জানান, ৬ বছর আগে জাহাঙ্গীরের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তাদের পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আদালতে এফিডেভিট ও রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা ময়মনসিংহ শহরে একটি ভাড়া বাসায় প্রায় ৩ মাস একসঙ্গে থাকেন। এরপর জাহাঙ্গীর তার পরিবারের সদস্যদের ম্যানেজ করে ঘরে তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

কিছুদিন পর খাদিজাকে না জানিয়ে ২য় বিয়ে করেন জাহাঙ্গীর। ২য় বিয়ের ঘটনা জানার পর জাহাঙ্গীরের নিকট স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে ঘরে তুলে নেয়ার আকুতি জানায় খাদিজা। এসময় জাহাঙ্গীর তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে উল্টো তাকে নানা হুমকী প্রদান করেন।

এদিকে স্ত্রীর অধিকার আদায়ের জন্য খাদিজা ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। খাদিজা আরো জানান, তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের পুলিশ কনস্টেবল নং-৫৪৩৯। তিনি রাজধানীর উত্তরা থানায় কর্মরত আছেন।

এ ঘটনায় মন্তব্য জানতে বুধবার জাহাঙ্গীর আলমের ০১৯৩১-৬০৪২৮৫ এ নাম্বারে কল করা হলে অপর প্রান্ত থেকে কেউ রিসিভ করেননি।

জাহাঙ্গীরের বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, খাদিজার সাথে তার ভাইয়ের বিয়ের ঘটনা তাদের পরিবারের লোকজন আগে জানত না। মঙ্গলবার বিকেলে ওই তরুণী তাদের বাড়িতে অবস্থান করার পর ঘটনাটি তারা জানতে পারেন।

(এসআইএম/এসপি/এপ্রিল ২৪, ২০১৯)