নিউজ ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি আসবে না তা নিয়ে জলঘোলা ছিল বহুদিন। অবশেষে ওই নির্বাচনে বিএনপি এলেও মাত্র ছয়টি আসনে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। আর গণফোরামের দুটি মিলিয়ে ঐক্যফ্রন্ট পায় মোট আটটি আসন।

এরপর থেকে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট বলে আসছিল তাদের কেউ শপথ নেবেন না। তবে আজ ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করা জাহিদুর রহমান শপথ নিয়েছেন। এরমধ্যে দিয়ে একে একে আটজনের তিনজন শপথ নিলেন। এরআগে শপথ নিয়েছেন গণফোরামের সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান।

নিয়ম অনুযায়ী, সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসাবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শপথ নিতে হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে বিজয়ী প্রার্থীদের। সুনির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে স্পিকারকে চিঠি না দিলে ৩০ এপ্রিলের পর তাদের আসন শূন্য হয়ে যাবে। পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এসব শূন্য আসনে অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন।

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনে নিজ দফতরে জাহিদুর রহমানকে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদুর রহমান মোবাইলে বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই শপথ নিতে বাধ্য হয়েছি। দলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথাটি এড়িয়ে যান।

জাহিদুরের শপথের বিষয়টিতে তার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং এলাকার উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, শপথ নেয়ার আগে জাহিদুর জেলা কমিটির কাছে কোনো লিখিত আবেদন করেননি। তিনি নিজ উদ্যেগে শপথ নিয়েছেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর ওই নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ছয়টি আসনে জয় পায় বিএনপি। আর গণফোরামের দুটি মিলিয়ে ঐক্যফ্রন্ট পায় মোট আটটি আসন।

নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলে তারা। নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবে না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে।

কিন্তু ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করে জয়ী হওয়া গণফোরামের সুলতান মনসুর গত ৭ মার্চ শপথ নিয়ে এরইমধ্যে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। পরে শপথ নিয়ে গতকাল সংসদে যোগ দিয়েছেন মোকাব্বিরও।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২৫, ২০১৯)