স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার পরিষ্কার কথা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ে সব সময় উদ্বিগ্ন থাকি।’

তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের মতো শান্তিপূর্ণ একটা দেশ সেখানে পুলিশও ব্যবহার করা লাগে না। ওই রকম একটা দেশে যখন এ ধরনের জঙ্গিবাদী ঘটনা ঘটাতে পারে আর বাংলাদেশে তো সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ লেগেই আছে।’

শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সদ্য সমাপ্ত ব্রুনাই সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরে যেভাবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয় এবং ৩ নভেম্বর জেলখানায় হত্যা এগুলো তো সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের পর্যায়ে পড়ে। যখন থেকে মিলিটারি ডিক্টেটররা ছিল তখন থেকে অনবরত ক্যু হতো, মানুষ হত্যা হতো। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর কীভাবে মানুষের ওপর অত্যাচার হয়েছে? তারপর আসেন অগ্নিসন্ত্রাস ২০১৩ সালের শেষের দিকে এবং ২০১৪ ও ২০১৫ সালে। সব থেকে বড় কথা প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলা করে মানুষ হত্যা করা। যে গ্রেনেড ব্যবহার করা হয় যুদ্ধে, সে গ্রেনেড ব্যবহার করা হলো আমাদের একটা র‌্যালিতে। সেই র‌্যালিটিও ছিল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা তো সেই সন্ত্রাসের শিকার। ১৫ আগস্ট সব হারালাম আমরা। তারপর শ্রীলঙ্কায় আমাদের পরিবারের একজন মারা গেল আমাদের আপনজন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাস তো আরেকটা পথ দেখালো সেই ২০১৫ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আগুন দিয়ে দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা। নুসরাতকেও অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হতে হলো। তারই শিক্ষক তাকে আগুন দিয়ে পোড়ানোর ব্যবস্থা করলো। সন্ত্রাসের ঝুঁকি তো আছে, কিন্তু আমি এইটুকু বলতে পারি, আমরা যথেষ্ট সজাগ আছি।’

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২৬, ২০১৯)