সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে পাষন্ড স্বামী  মাথায়, পিঠে.কুপিয়ে ও জিহ্ববা কেটে হত্যা করেছে স্ত্রীকে। স্ত্রী শাহানাজ বেগমকে (৫৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং জিহ্ববা কেটে নির্মম ভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটায় পাষন্ড স্বামী মমিনুল ইসলাম (৬০)। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী মমিনুল পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের পশ্চিম পাউশার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার বিচার সালিশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীকে মারধর করে মুমুুর্ষ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায় মমিনুল। গতকাল সকালে এ ঘটনার পরে নিহতের স্বজনরা শাহানাজ বেগমকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।

নিহত শাহানাজ বেগমের ভাই সুলতান মিয়া জানান, প্রায় ৩৮ বছর আগে আমার বোনের সাথে বিয়ে হয় মমিনুলের। বিয়ের পর থেকেই বোনকে নির্যাতন করত। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আমার বোনকে অমানবিক ভাবে নির্যাতন করে আমার বোনের জিহ্ববা কেটে ফেলে এবং মাথায় একাধিক আঘাত করে। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথেই আমার বোন মারা যায়।

শেখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জানান, একাধিক বার বিচার সালিশ করার পরও মমিনুল শুধরায়নি। তেমন কোন কারণ ছাড়াই সব সময় স্ত্রীকে মারধর করত। সর্বশেষ মাথায়, পিঠে কুপিয়ে জিহ্বাকেটে মেরেই ফেলল, তার বিরুদ্ধে আইনের মাধ্যমে শাস্তি হোক এটাই আমরা চাই।

সিরাজদিখান থানার শেখরনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো.সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি ছিল। রাতে স্ত্রীকে মাথায়, পিঠে.কুপিয়ে ও জিহ্ববা কেটে মেরে মমিনুল পালিয়ে যায়। লাশ ময়নাতন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে আছে এবং এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে কি কারণে এমন ভাবে মারল তা জানাযায়নি।

(এসআরডি/এসপি/এপ্রিল ২৬, ২০১৯)