চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : দেশের প্রতিটি উপজেলার মতো কর্ণফুলীতে ও তৈরি করা হচ্ছে একটি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।
প্রায় তিন একর জায়গা জুড়ে দৃষ্টিনন্দন এ স্টেডিয়াম নির্মাণের লক্ষ্য উপজেলায় উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন ও যাচাই বাচাই করা হচ্ছে।

উপজেলার অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন সিডিএ আবাসিকের পাশের খালি জায়গায় স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করার উপযুক্ত জমি। যার নির্মাণ কাজ করবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

এ স্টেডিয়ামটির নামকরণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই মরহুম শেখ রাসেলের নামে। যিনি ১৫ আগস্টে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিহত হন।

জানা যায়, এ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ১৩১টি উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের ৪৯০টি উপজেলায় নির্মাণ হবে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম।

গত নির্বাচনের আগে একটি প্রকল্পের অধীনেই সব উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল বর্তমান সরকারের।

যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমি অধিগ্রহণ না করে উপযুক্ত স্থানে খাস জমি খুঁজে স্টেডিয়াম নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই প্রকল্পটি একাধিক ধাপে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সুত্রে জানা যায়।

প্রথম ধাপে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য খাসজমি পাওয়া গেছে ৫০ জেলার ১৩১টি উপজেলায়। গত বছর মে মাসে প্রথম ধাপের স্টেডিয়ামগুলোর তালিকা অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জায়গা নির্বাচন ও দরপত্র আহ্বান শেষে এ বছরের গোড়ার দিকেই স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ শুরু করেছে জাতীয় ক্রীড়[া পরিষদ। মিনি স্টেডিয়াম হলেও সেখানে থাকছে না কোনো গ্যালারি। প্রকৃতপক্ষে এগুলো হবে মাঠ। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন সবার জন্য এ স্টেডিয়ামগুলো উন্মুক্ত রাখতে।

মাঠের এক পাশে থাকবে কেবল একটি একতলা ভবন। সেখানে থাকবে দুটি ড্রেসিং রুম, একটি অফিস রুম এবং নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা ৩টি করে ৬টি টয়লেট। ভবনের সামনে ৩৫টি আরসিসি বেঞ্চ থাকবে। বাকিটা খোলা জায়গা।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সুত্রে আরো জানা যায়, ‘প্রথম ধাপের ১৩১টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ চলছে। পাশাপাশি চলছে দ্বিতীয় ধাপের প্রকল্প তৈরির কাজ। ইতোমধ্যে ১৫০টিরও বেশি উপজেলায় জায়গা মিলেছে। এগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে। জায়গাগুলো চূড়ান্ত হলে দ্বিতীয় ধাপের প্রকল্প তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হবে।’

কোনো নির্দিষ্ট খেলার জন্য নির্ধারিত থাকবে না উপজেলা পর্যায়ের এ মিনি স্টেডিয়ামের মাঠগুলো। নির্মাণ শেষ হওয়ার পর স্টেডিয়ামগুলো বুঝিয়ে দেবে উপজেলা পরিষদকে। তারা স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকদের সঙ্গে বসে মাঠ ব্যবহারের নীতিমালা তৈরি করবে।

ক্রীড়া প্রশাসন প্রথমে চেয়েছিল মাঠের চারদিকে অন্তত কাঁটাতারের বেড়া দিতে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্টেডিয়াম উন্মুক্তই থাকছে বলে সুত্রে জানা যায়।

(জেজে/এসপি/এপ্রিল ২৭, ২০১৯)