যে কোন  দেশের জন্যই ফৌজদারি মামলার বিচার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের দেশের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা এখনো সন্তোষজনক অবস্থায়  পৌছায়নি বরং বলা যায় ব্যর্থ হয়েছে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে ।  তাই বাংলাদেশের সংবিধান প্রদত্ত আদালতের আশ্রয়ে ন্যায়বিচার লাভের নিশ্চয়তার অধিকার নিয়ে দেশের মানুষ যেমন দ্বিধান্বিত, তেমনি “আইনের চোখে সবাই সমান” বাক্যটির কার্যকারিতা নিয়েও ভীষণভাবে সন্দিহান।

একটি নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার দ্বারা অপরাধীকে সাজা দেওয়ার মাধ্যমেই নিশ্চিত হয় আইনের শাসন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে অপরাধীর শাস্তি পাওয়ার হার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। যা বাংলাদেশের মত অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় খুবই নগণ্য ও আশঙ্কাজনক।

ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয় উন্মুক্ত আদালতে। বিচারিক আদালতকে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের ও অভিযুক্তের আইনজীবী নিজ নিজ পক্ষের প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ আদালতের সামনে উপস্থাপন করেন, পরস্পরের যুক্তি খণ্ডন করেন। অতঃপর অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী না নির্দোষ তা নির্ধারণ করেন বিচারক। দোষী হলে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী আইনে নির্ধারিত সাজা দেন। আর নির্দোষ প্রমাণিত হলে খালাস দেন ।

একজন অভিযুক্তকে দোষী বা নির্দোষ প্রমাণ করতে কার্যকর তদন্ত অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হিসাবে কাজ করে। মূলত কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির দোষী বা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া নির্ভর করে তার বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে আনীত সাক্ষ্য ও তার প্রমানের ওপর। আর তাই যেকোনো ফৌজদারি মামলার তদন্ত এমন একটি সুপরিকল্পিত ও দুর্ভেদ্য কাজের সমন্বয়, যার জন্য তদন্তকারী ব্যক্তিকে হতে হয় বিশেষ ভাবে দক্ষ ও অভিজ্ঞ। কারণ যখন কোন অপরাধ সংঘটিত হয় তখন অপরাধটি হওয়ার ফলে কী ক্ষতি হয়েছে সেটাই দৃশ্যমান থাকে। অপরাধটি কিভাবে সংঘটিত হলো বা এর পেছনের অভিসন্ধি আইনের ভাষায় যাকে বলে ‘মটিভ’ সম্পর্কে তদন্তকারীর কোনো সুস্পষ্ট ধারণা থাকে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে এটাও ধারণা থাকে না যে কার দ্বারা অপরাধটি হয়েছে বা কে এর দ্বারা লাভবান হবে। এসব প্রশ্নের উত্তর বের করে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করতে, তদন্তকারীকে হতে হয় বুদ্ধিমান । পরিকল্পনার মাধ্যমে তদন্তে অগ্রসর হওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় দক্ষতার । হাজারো মিথ্যার ভিড় থেকে সত্য উদ্ঘাটনের জন্য তদন্তকারীকে হতে হয় তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাসম্পন্ন। তাঁকে জানতে হয় কোনটা প্রয়োজনীয় এবং কোনটা অপ্রয়োজনীয়। অপরাধ এবং অপরাধী সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের জন্য তাঁকে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে যেতে হয়, নিতে হয় তাদের সাক্ষাৎকার। এ সব কিছুর জন্য তাঁকে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হয়, যাতে তারা তথ্য দিতে সংকোচ বোধ না করে। আর এসব বৈশিষ্ট্যমূলক গুণ অর্জন করে তদন্তকে সফলতার পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন তদন্তকারীকে হতে হয় ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ও উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

আমাদের দেশে সাধারণত ফৌজদারি মামলাসংক্রান্ত তদন্তকাজ পরিচালনা করে পুলিশ বা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তৈরী কোন প্রতিষ্ঠান , যাদের প্রধান কাজ হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত নিজ নিজ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া ।পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রত্যেক থা্নার এক এক জন উপ পরিদর্শক তার দৈনন্দিন কাজের বাইরে ১৫ টি মামলার তদন্ত করে থাকেন । এমনিতে তাদের সুযোগ-সুবিধা ও লোকবল অপ্রতুল , তার উপর সরকারের চাপিয়ে দেওয়া বাড়তি দায়িত্বের কারনে তারা তাদের রুটিন কাজ করতেই হিমশিম খায়। এ অবস্থায় মড়ার উপর খরার ঘা মতো তদন্তকাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ বিষয় তাদের ওপর ন্যস্ত করার ফলে তদন্তকাজে তাড়াহুড়া করার প্রয়াস যেমন থাকে, তেমনি অবহেলা ও গাফিলতিও বহুলাংশে বেড়ে যায়। যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকায় পুলিশ ব্যর্থ হয় অপরাধ করার মোটিভ চিহ্নিত করতে ও প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ উদ্ধার করতে। আর এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ তদন্তের সুযোগে ছাড়া পেয়ে যায় প্রকৃত ও চিহ্নিত অপরাধী। এমনও দেখা যায়, কোনো থানায় মামলা তদন্তের জন্য মাত্র একজন কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর পক্ষে সম্ভব হয় না সঠিকভাবে সব মামলার তদন্তকাজ সঠিক সময়ে সুসম্পন্ন করা। কোনো কোনো মামলায় অভিযোগপত্র বা পুলিশ প্রতিবেদন দিতে এত দেরি হয় যে আদালত বাধ্য হন আসামিকে জামিন দিতে। সেই জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা পরবর্তী সময়ে বিভিন্নভাবে তদন্তকাজকে প্রভাবিত করে এবং বিভিন্ন আলামত নষ্ট করে মামলাকে দুর্বল করে দেয়। আবার আসামিপক্ষের ভয়ে বা প্রভাবশালী ব্যক্তির হস্তক্ষেপের কারণে অনেক মামলায় বছরের পর বছর সাক্ষী না আসার কারণেও অনেক অপরাধী ছাড়া পেয়ে যায়। যদিও সরকার ২০১৩ সালের জানুয়ারী মাসে ‘পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেসন’ নামে একটি হাই প্রফাইল তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছে যা প্রত্যেক জেলার চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত করবে । পুলিশ সদস্যদের নিয়েই এটি তৈরী হওয়ায় এবং শুধু মাত্র নিদিষ্ট মামলার তদন্ত করার কারনে থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের ও অন্যান্য তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান এর কাজের চাপ কমানোর ক্ষেত্রে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে না বলেই সকলের ধারনা ।

আমাদের দেশে কার্যকর তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীকে সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো একটি বড় বাধা হচ্ছে দুর্নীতি। অনেক অপরাধীর সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সখ্য যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে পুলিশের কাজের ওপর প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাব। প্রভাবশালী বা রাজনৈতিক ব্যক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হালকাভাবে তদন্তকাজ সম্পন্ন করা বা প্রকৃত অপরাধীকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়ার ঘটনা আমাদের দেশে সচরাচরই ঘটে থাকে। আসামিপক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে পুলিশ প্রতিবেদন দেয়। আবার ঘুষ না দেওয়া নিরপরাধ ব্যক্তিকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে।

অন্যদিকে কোনো অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণিত করার জন্য কেবল তদন্তের মাধ্যমে সাক্ষ্য-প্রমাণাদি জোগাড় করলেই হয় না; পাশাপাশি সেগুলো যথাযথ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমেই অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা যায়। বাংলাদেশে জেলা আদালত এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টগুলোতে রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন পাবলিক প্রসিকিউটররা এবং তাঁদের সহায়তা করেন অতিরিক্ত ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটররা। এ ছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের পক্ষে নিয়োজিত থাকেন এবং তাঁকে সহায়তা করেন অতিরিক্ত, ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা।

আমাদের দেশে সব ফৌজদারি মামলার শুরু ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে। পরে অপরাধের ধরন এবং প্রকৃতি অনুযায়ী মামলাটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, দায়রা আদালত, বিশেষ ট্রাইব্যুনালসহ অন্যান্য আদালতে স্তানান্তরিত হয়। বিচারে আসামিকে সাজা দেওয়া হলে আইনে তাদের উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ রয়েছে। আবার খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারেরও উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
মামলার সংখ্যা এ দেশে অনেক হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত আইন কর্মকর্তাদের সব মামলায় নজরদারি করার সুযোগও থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কেবল কোর্টে এসে তাঁরা সুযোগ পান মামলার নথি পড়ার। আর এসব কারণেই তাঁরা ব্যর্থ হন মামলা সঠিকভাবে উপস্থাপনে বা ত্রুটিগুলো আদালতের নজরে আনতে।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯২ ধারা অনুযায়ী সরকার কোনো এলাকায় বা কোনো মামলায় বা কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণীর মামলার জন্য এক বা একাধিক পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ করে। তাই কোনো স্বতন্ত্র বিধি না থাকায় প্রত্যেক সরকার তার নিজের পছন্দের আইনজীবীকে পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়। যেহেতু নিয়োগ হয়ে থাকে রাজনৈতিকভাবে, তাই নিয়োগের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা পরখ বা মানদণ্ড অনুসরণ করা হয় না। কোনো আবেদনপত্রও চাওয়া হয় না আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে। তার ওপর নিয়োগ অস্থায়ী হওয়ায় তাঁদের কাজের মধ্যে থাকে না ধারাবাহিকতা, জবাবদিহিতা ও দায়িত্ববোধ। যেহেতু একমাত্র যোগ্যতা তিনি সরকারি দলের সমর্থক বা আশীর্বাদপুষ্ট, তাই তাঁর কাজে থাকে উদ্দীপনা ও দায়িত্বশীলতার অভাব। রাষ্ট্রের স্বার্থের থেকে দলীয় উদ্দেশ্য পূরণকেই তাঁরা তাঁদের প্রধান দায়িত্ব বলে মনে করেন। প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে সাজা দেওয়ার চেয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মামলার প্রতি তাঁদের বেশি আগ্রহ দেখা যায়। দলকে খুশি রেখে পদে বহাল থাকার প্রবণতায় দলীয় আইনজীবী নেতাদের আজ্ঞাবহ থেকে তাঁদের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করার প্রবণতা তাঁদের মধ্যে ব্যাপক হারে পরিলক্ষিত হয়। প্রয়োজনীয় তদারকি ও জবাবদিহিতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে আসামিপক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে জামিনে বিরোধিতা না করার অভিযোগ কিছু কিছু পাবলিক প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে প্রায়ই পাওয়া যায়। পর্যাপ্ত মটিভেশনের অভাবে তাঁরা ব্যর্থ হন মামলা সঠিকভাবে উপস্থাপনে। এসব কারণেই বাংলাদেশে অপরাধীর শাস্তি পাওয়ার হার খুবই নগণ্য।

তাই দেশের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার এসব দুর্বলতা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক মান অর্জন করার প্রয়াসে অচিরেই সরকারের উচিত এদিকে মনোযোগী হওয়া এবং এ ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংস্থার সংস্কার সাধন করা। তাই একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও স্থায়ী প্রসিকিউশন সার্ভিস গঠন ও অপরাধ তদন্তের দুর্বলতা দূরকল্পে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে :

* ১. কোনো ফৌজদারি মামলার তদন্তে নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর সদস্যকে তাঁর দৈনন্দিন অন্যান্য কাজ থেকে পৃথক রাখা, যাতে তাঁরা তাঁদের সম্পূর্ণ মনোযোগ এবং সময় মামলার তদন্তকাজে ব্যয় করতে পারে।

* ২. দীর্ঘদিন ফৌজদারি মামলার তদন্তকাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, ফৌজদারি মামলার অভিজ্ঞ আইনজীবী এবং অপরাধবিজ্ঞান সম্পর্কিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী এজেন্সি গঠন করা যারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে পরীক্ষা করে দেখবে কোন মামলা বিচারের জন্য প্রেরণ করা হবে এবং কোনটা তার আগেই নিষ্পত্তি করা উচিত।

* ৩. আমাদের পুলিশ বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন এবং পাবলিক প্রসিকিউটররা আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রাধীন। তাই এই দুই মন্ত্রণালয়কে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা, যার মাধ্যমে পাবলিক প্রসিকিউটর ও তদন্ত কর্মকর্তার কাজের সমন্বয় সাধন করা যায় এবং অভীষ্ট লক্ষ্যে পেঁৗছার জন্য সঠিক পরিকল্পনা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করা যায়।

* ৫. তদন্তকাজে নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের পৃথক সেল গঠন করে উন্নত চলমান প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। এর পাশাপাশি যানবাহন সুবিধাদি ও প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করার স্বাধীনতা প্রদান করা। তাঁদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করা।

* ৬. অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আইনজীবীদের মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও স্থায়ী প্রসিকিউশন সার্ভিস গঠন করা। প্রসিকিউটরদের কাজের তদারকি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা।

* ৭. একটি স্বতন্ত্র প্রসিকিউশন সার্ভিস নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা, যার মাধ্যমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করা যায়। নতুন নিযুক্ত প্রসিকিউটরদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

* ৮. পাবলিক প্রসিকিউটরদের ভালো বেতন, ইন্টারনেট, যানবাহন ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা।

লেখক : এডভোকেট , বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

Email : [email protected]

(অ/জুলাই ২৫, ২০১৪)