অমল তালুকদার : গ্রেডভীম থেকে পলেস্তারা খসে পরছে কোমলমতি শিশুশিক্ষার্থীদের মাথায়। দেয়ালগুলোতে বিশাল ফাঁটল। রোগাক্রান্ত মানবদেহে যেমন মলমের প্রলেপ! পুরো ভবনের জড়াজীর্ন দশা চুনকাম করে করে বছরের পর বছর ঢেকে দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। দেখে মনে হয় এযেনো "উপরে ফিটফাঁট্ ভেতরে সদরঘাট!"

পাথরঘাটা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৪৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পাঁকাভবন নির্মান হয় ১৯৯১ সালে। ভবনটি ২০১৩ সালে একবার সংস্কার করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান ২০১৪ সালে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন। তৎকালিন ম্যানেজং কমিটির সভাপতি এম.এ.মালেক বিষয়টির প্রতি গুরত্ব নাদিয়ে এখানেই ক্লাস চালিয়ে যান বলে অনুসন্ধানে জানাগেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে দ্বিতীয়তলায় ৫ম শ্রেনির ক্লাসের ছাদ থেকে পলস্তারা খসে খসে শিশুদের মাথায় পরছে। সাংবাদিকের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থী সাদিয়া, আফরিন,স্বর্না তানিয়া,চন্দন,তানহা সহ অসংখ্য ছাত্র/ছাত্রী নতুন এবং বড় বিল্ডিং নির্মানের দাবী জানায়।

প্রধান শিক্ষক মো.ছগির হোসেনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ৫শ'র অধিক ছাত্র/ছাত্রী প্রতিদিন অধ্যয়ন করছে এখানে। শ্রেণিকক্ষ থাকার কথা কমপক্ষে ১২টি। অাছে ৫/৬টি। প্রথম শ্রেনির টিনসেড ঘড়ের চালা থেকে বৃষ্টির জল পরে ডুবে যায় ক্লাসরুমটি।

পাথরঘাটা পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় এই প্রাইমারী স্কুলটিতে শিক্ষকদের মাসিক মিটিং/ট্রেনিং সবকিছু অনুষ্ঠিত হয়।

পাথরঘাটার উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির দেশের বাইরে থাকায় বিদ্যালয়টি নিয়ে তাঁরসাথে কথা বলা যায়নি।

রহস্যের বিষয় হচ্ছে এই বিদ্যালয়ে পাথরঘাটার শিক্ষিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সন্তানরা লেখাপড়া করলেও ভবনটির দুর্ভাগ্যের কথা কেউ বলছেন না#

(এটি/এসপি/এপ্রিল ২৮, ২০১৯)