মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের জাজিরা গ্রামে চাঁদনী আক্তার (১৫) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ রবিবার সকালে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পর থেকে চাঁদনীর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে পাঁচখোলা গ্রামের আবুল হাওলাদারের মেয়ে চাঁদনীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে হয় জাজিরা গ্রামের বাবুল ফকিরের মাদকাসক্ত ছেলে রিয়াদের। ছেলে মাদকাসক্ত ও বখাটে হওয়ায় মেয়ের পরিবার এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। বিয়ের পর থেকে নেশার টাকা ও যৌতুকের জন্য চাঁদনীকে প্রায়ই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো স্বামীসহ তার শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। নেশা ও যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় শনিবার রাতে চাঁদনীকে পিটিয়ে হত্যা করে রবিবার ভোরে স্বামী রিয়াদ ও তার পরিবারের লোকজন সবকিছু নিয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

রবিবার সকালে প্রতিবেশিদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে সদর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করেছে। চাঁদনীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে প্রতিবেশিরা জানান।

নিহত চাঁদনীর বাবা আবুল হাওলাদার বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই নেশার টাকা ও যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে মারধর করতো। রবিবার সকালে শুনি আমার মেয়েকে মেরে ওর স্বামীর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’

পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দুলুফা বেগম বলেন, ‘নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের নীচের অংশের জমাট বাধা রক্তের দাগ দেখা গেছে।’

মাদারীপুর সদর থানার এসআই মো. কবির হোসেন বলেন, আমরা সুরাতহাল রিপোর্ট করেছি। ময়না তদন্তের পরে বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।’

মাদারীপুর সদর থানার ওসি মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা হলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

(এএসএ/এসপি/এপ্রিল ২৮, ২০১৯)