কবির আল মাহমুদ, স্পেন : অভিনেত্রী ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই- ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে তার দুটি  স্মার্ট ফোন  হারানোকে কেন্দ্র করে প্রায় অর্ধশত সাংবাদিককে চোর সন্দেহে হলরুমে আটকে রেখে দেহ তল্লাসী ও ‌’চোর’ বলে সম্বোধনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে অল ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব।

অল ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক কবির আল মাহমুদ কর্তৃক গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি ফায়সাল আহমেদ দ্বীপ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিরন নাজমুল সাধারণ ও সম্পাদক জমির হোসেন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, প্রায় অর্ধশত সাংবাদিককে চোর সন্দেহে দেহ তল্লাসী করে শমী কায়সার পুরো সাংবাদিক সমাজকেই ছোট করেছেন, যা তার কাছে কেউ আশা করেনি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকদের ভিডিও রেকর্ডিংয়ের কল্যাণেই শমী কায়সারের মোবাইল চোরকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে; যে কোন সাংবাদিক ছিল না, বরং অনুষ্ঠানের আয়োজকদেরই ভাড়া করা লোক এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতার কারণেই তিনি তার মোবাইল ফোন ফিরে পান। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মোবাইল চুরির জন্য শমী কায়সারের অসতর্কতাকে দায়ী করে বলেন, সামান্য দুটি মোবাইলের জন্য সাংবাদিকদের এভাবে অপদস্থ ও ছোট করা মোটেই কাম্য নয়। আমরা তার কাছ থেকে আরো দায়িত্বশীল আচরণ আশা করেছিলাম।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এ ঘটনার জন্য শমী কায়সারকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিক সমাজের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।

এ ছাড়া ও অন্যদের মধ্যে শমী কায়সারকে তার অসৌজন্যমূলক ও ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের জন্য আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অল ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি রিয়াজ হোসেন, মিনহাজুল আলম মামুন, মাহবুব সুয়েদ, ফারুক আহমেদ মোল্লা, নুরুল ইসলাম, আখি সীমা কাওসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বাহার, জুহুরুল হক, কবির আল মাহমুদ, নাজমুল হোসেন, জামিল আহমেদ সায়েদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রনি মোহাম্মদ, শফিউল শাফি, অর্থ সম্পাদক মাহবুব হোসাইন, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেল আহম্মেদ, আমির হোসেন লিটন, ক্রীড়া সম্পাদক সাইফুল আমিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোহাম্মদ আসলামুজ্জামান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক জাহিদ কায়সার, অভিবাসী সম্পাদক জুম্মন মাদবর, মহিলা সম্পাদিক মনিকা ইসলাম, সদস্য এডভোকেট আনিসুজ্জামান, খান রিপন, মিল্টন রহমান, ফেরদৌসী রহমান প্রমুখ।

যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘‘একজন শহীদ সাংবাদিকের মেয়ে হয়ে পিতার পেশার উত্তরসূরিদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করে শমী কায়সার প্রকারান্তরে তার পিতাকে নিকৃষ্টভাবে অসম্মান করেছেন। শুধু তাই নয়, একজন সেলিব্রেটি হিসেবে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘মোবাইল ফোন হারানো’র সূত্র ধরে যে আচরণ করেছেন, তা সেলিব্রেটিদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তার মতো একজন অভিনেত্রী ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয়।’

(কেএএম/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০১৯)