নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় ১০ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ভাইরালের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানা পুলিশ ওই ধর্ষককে আটক করেছে।

থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল লোহাগড়া উপজেলার শালনগর মর্ডান একাডেমির ১০ম শ্রেণী শিক্ষার্থী (১৬) এর সাথে পাশ্ববর্তী নওখোলা গ্রামের মৃত গনি খাঁর ছেলে রহিম খাঁন (২২) এর মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের জের ধরে বিগত ২০১৮ সালের ১০ জুলাই অভিযুক্ত রহিম খাঁনসহ তার ৫ জন সহযোগী পরস্পর যোগসাজসে ওই শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে লোহাগড়া পৌর সভার কলেজ পাড়ায় রহিমের ফুফু হাজেরা বেগমের বাড়িতে নিয়ে রহিম ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ঘটনা গোপনে মোবাইলের মাধ্যমে ধারণ করে। এ সময় রহিমের ফুফু হাজেরা বেগম বাড়িতে ছিলেন না। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না বলার জন্য রহিমসহ তার সহযোগীরা ওই শিক্ষার্থীকে হুমকি দেয়। এরপর ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে আসছিল ধর্ষক রহিমসহ তার সহযোগিরা। ধর্ষক রহিমসহ তার সহযোগীদের ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি-ধামকি ও লোকলজ্জার ভয়ে ওই শিক্ষার্থী মুখ খোলেনি। অব্যহত হুমকির এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী গত ২৪ এপ্রিল ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিওর বিষয়টি শেষ পর্যন্ত তার পিতাকে অবহিত করতে বাধ্য হয়।

এরপর তার পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক রহিম ও তার সহযোগী স্বাধীন সরদার, ইমদাদ ফকির, রবিউল ইসলাম,তারিক মোল্যা ও শিশির শেখ কে আসামী করে লোহাগড়া থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২২।

মামলা দায়েরের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার সন্ধ্যায় লোহাগড়া থানা পুলিশ উপজেলার মানিকগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে ধর্ষক রহিম খাঁনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষক রহিমকে আটক করা হয়েছে এবং অন্য আসামীদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।

(আরএম/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০১৯)