রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : হলফনামায় তথ্য গোপন করার অভিযোগে  কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সাঈদ মেহেদীর নাম বাতিল ঘোষণার দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রাম রহিমপুরের শেখ মেহেদী সুমন নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল যুগ্ম ও জেলা জজ প্রথম আদালতে সোমবার এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সাঈদ মেহেদী ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনসহ ১০জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সাঈদ মেহেদী ঘোড়া প্রতীকে, শেখ মেহেদী হাসান সুমন আনারস প্রতীকে ও শেখ আতাউর রহমান নৌকা প্রতীকে বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। সাঈদ মেহেদী উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জয়ংলাভ করেন ও দ্বিতীয় স্থাানে থাকেন শেখ মেহেদী হাসান সুমন।

সূত্রটি আরো জানায়, নির্বাচনী হলফনামায় ফৌজদারি চারটি মামলার কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে শ্যানগরের সাংসদ এসএম জগলুল হায়দারের দায়েরকৃত তথ্য প্রযুক্তি আইনেসর ৫৭ ধারার মামলাটি বিচারাধীন। তিন মামলার দু’টিতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন ও একটিতে খালাস দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ ২০১২ সালে সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে আশাশুনির এক স্কুল ছাত্রীর দায়েরকৃত অপহরণ ও ধর্ষণ মামলাটি(ক্রিঃ মিস কেস নং-৬২৬০/১৩) বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন।

এ ছাড়া তার নিজ নামে ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কার্যকরী মেসার্স অনামিকা ট্রেডার্স নামে একটি সার বিক্রির লাইসেন্স থাকলেও তিনি তা গোপন রাখেন। অনামিকা ট্রেডার্স এর কারণে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে যাচাই বাছাই এর সময় তার নির্বাচন বাতিল হয়ে যায়।

জানতে চাইলে বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. পঙ্কজ কুমার মল্লিক জানান, বিচারক মোখলেছুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারির নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে এ ব্যাপারে সাঈদ মেহেদীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

(আরকে/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০১৯)