বাগেরহাট প্রতিনিধি : মোংলা বন্দরের শিল্প এলাকায় অব্যবহৃত শিল্প প্লটের বরাদ্দ অবশেষে বাতিল করতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

বন্দরের শিল্প এলাকায় নেয়া বরাদ্দকৃত জমিতে দীর্ঘদিন ধরে কোন স্থাপনা তৈরী না করায় ইতিমধ্যে ‘বারাকা লিমিটেড’ নামক একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৩ একর জমির বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা এ জমি বন্দর পরিচালনার কাজে ব্যবহার করা হবে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি ও প্রশাসন বিভাগ জানায়, মোংলা বন্দরের শিল্প এলাকায় এক শ্রেণীর মালিক শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার নামে কর্তৃপক্ষ থেকে জমি বরাদ্দ নিয়ে তা ব্যবহার না করে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রেখেছে। অথচ বরাদ্দ চুক্তিনামার অন্যতম শর্ত হলো সর্বোচ্চ দু’বছরের মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু এক শ্রেণীর প্লট গ্রহীতারা জমি বরাদ্দ নিয়ে দীর্ঘদিনেও কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেনি। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বার বার ওই প্লট গ্রহীতাদের তাগাদা দেয়া সত্বেও তারা কর্তৃপক্ষ থেকে জায়গা বরাদ্দ নিয়ে তাতে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ ছাড়াই ফাঁকা ফেলে রাখে।

এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে শিল্প কারখানা নির্মাণ না করার বিষয়টি নিয়ে বার বার আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এসব শিল্প কারখানার নামে বরাদ্দ দেয়া প্লটের বরাদ্দ বাতিলের সুপারিশ করেন। এরপর গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বন্দরের ২৬০তম বোর্ড সভায় বারাকা লিমিটেড নামক একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৩ দশমিক ১৪ একর জমির বরাদ্দ বাতিল করা হয়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উর্ধতন উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমানে এ বন্দরের কাজের পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বন্দরের পরিচালনার কাজের জন্য জমির খুব প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

বন্দরের পশুর নদী সংলগ্ন ‘বারাকা লিমিটেড’র নামে বাতিল করা এ জমি বন্দর পরিচালনাসহ উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া অন্য যারাও জমি বরাদ্দ নিয়ে শর্ত ভঙ্গ করে অহেতুক প্লট ফেলে রেখেছেন পর্যায়ক্রমে তাদের বরাদ্দও বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

(এসএকে/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০১৯)