পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা বেড়া উপজেরার জাতসাখিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুর বিরুদ্ধে ইটভাটা দখল অবৈধ বালু উত্তোলন সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছে বেড়া জাতসাখিনী ইউনিয়নের সাধারন মানুষ । পাবনার বেড়া উপজেলার ৬ নং জাতসাখিনী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু প্রায় তিন বছর ধরে আমিনপুরের উজানপাড়ার হাসমত ব্রিক ইটভাটা ২০১৬ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জোর করে দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে হাসমত ব্রিক ইট ভাটার মালিক হাসমত আলী । হাসমত ব্রিক ইটভাটা এখন নাম পরিবর্তন করে মেঘনা ব্রিকস নামে পরিচালনা করে আসছে ।

সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় । এলাকাবাসি জানায় বাবু চেয়ারম্যান তিন বছর ধরে কামিনাথপুরের বাবু পাড়ার হাসমত আলীর ইটভাটা দখল করে নেয় । হাসমত আলী সাংবাদিক কে জানায় বাবু চেয়ারম্যান তার ইট ভাটা দখল করলে তা উদ্ধারের জন্য আমিনপুর থানায় মামলা করতে গেলে তখন পুলিশ মামলা নেয়নি পরে পাবনা জজ কোর্টের নির্দেশে আমিনপৃর থানা মামলা নিতে বাধ্য করে । মামলা টি পরবর্তীতে পাবনা পিবিআইতে আসলে পিবিআই তদন্ত শেষে আমিনপুর থানার চুরান্ত রিপোর্ট তথ্যগত ভুল নং ৩০/০৩/২০১৭ পাবনা জজ কোর্টে পাঠায় । তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন এস.আই ফরহাদ হোসেন ।

হাসমত আলী জানায় বাবু চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে পাবনা জজ কোর্টে যেতে বাধা প্রদান করে মামলা রায় তাদের মত করে নেওয়ার চেষ্টা করছে ফলে আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হলে বিষয় টি আবার আইনজীবির পরামর্শ নিয়ে ন্যায় বিচারের জন্য উচ্চ আদালত পযর্ন্ত যেতে যাব । হাসমত আরো জানান বাবু চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে একাবারে নিঃস্ব করে দিয়েছে এখন তার মামলা চালানোর মত কোন অবস্থা নাই ।

ইটভাটা দখল ছাড়াও বাবু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এরাকায় রয়েছে হাজারো অভিযোগ এর মধ্যে কাবিখা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মস্বাৎ সহ সন্ত্রাসী ও দখলবাজী কর্মকান্ড বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতার নাম ভাঙ্গানো ইত্যাদি । বেড়া উপজেলার সাধারন মানুষ জানান জাতসাখিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু রোস্তম, হারুন, বুক্কা সহ বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করা কতিপয় সস্ত্রাসীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও ইন্ধন দিয়ে আসছে ।

এছাড়া চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবুর বিরুদ্ধে রয়েছে যমুনা নদী থেকে অবৈধ্য বালু উত্তোলন সহ নগরবাড়ি ঘাটের বিভিন্ন দোকান দখল করে সন্ত্রাসীদের আড্ডাখানা বনানোর । সম্প্রতি এরাকায় অধিপত্য বিস্তার করা কে কেন্দ্র করে রেজিয়া খাতুন লিলি (৬০) নামে এক মহিলা নিহত হয়েছে, যদিও পুলিশ বলছে আস্বাভাবিক মৃত্যু, ময়না তদন্ত্য রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এটাকে হত্যা বলা যাবে না । কিন্তু নিহত পরিবারের দাবি জাতসাখিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু গ্রুপের রস্তম বাহিনীর লোকজন তাকে হত্যা করেছে । কারন আগের দিন ঔ এলাকায় বিভিন্ন বাড়ি ঘর ভাংচুর করে রস্তম গ্রুপের লোকজন, আর এতে ইন্ধন ছিল জাতসাখিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবুর ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতসাখিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু বলেন এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নাই, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই না ।

(পিএস/এসপি/এপ্রিল ৩০, ২০১৯)