পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা বেড়া উপজেলার নগরবাড়ীতে যমুনা নদী থেকে থামছে না অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। ফলে হুমকির মুখে নদীশাসন ব্যবস্থা প্রকল্প ও মেরিন একাডেমীসহ নগরবাড়ী নৌ-বন্দর । এর সাথে জরিত প্রভাবশালী মহল ।

বেশকিছুদিন ধরেই নগরবাড়ীতে যমুনা নদী থেকে ও নদী পার থেকে সরকারী খাস কৃষি জমি কেটে অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে । নগরবাড়ী এলাকায় গেলে এলাকাবাসী জানায় পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল্লার ভাতিজা সুজন সহ মোস্তফা ও রাজেিবর নেতৃত্বে বেশকিছু দিন ধরেই প্রশাসনের নাকের ডগায় যমুনা নদী থেকে অবৈধ্যবাবে বালু উত্তোলন করে আসছে । পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের পাশে বাসন্তী বসু ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জন্য খাল ভরাটের অযুহাতে উক্ত স্থান ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বালু উত্তোলন করে পুকুর ও খাল ভরাট করার জন্য বিক্রি করা হচ্ছে বালী ।

যমুনা নদী তীর ও পাশ থেকে অবৈধ্য ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকীর মুখে পড়েছে মেরিন একাডেমী সহ নগরবাড়ী নৌ বন্দর ও বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের যমনা নদী শাসন প্রকল্প , স্কুল,কলেজ,ব্যাংক,বীমা অফিস সহ বিভিন্ন স্থাপনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আসিফ আনাম সিদ্দিকী আমরা ইতিপূর্বে জনিমানা করেছি আবার বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করব ।

পাবনা পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম এ বিষয়ে বলেন, এটা বাল মহল জেলা প্রশাসকের বিষয় আমি কোন মন্তব্য করব না । আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন আমরা চেষ্টা করছি বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য কিন্তু আমার কাছে কেউ অভিযোগ দেয় নাই অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব ।

বিআডাব্লুটিএ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য পাঠানো হয় মাননীয় মন্ত্রী মহাদয়ের একান্ত সচিব নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়, বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, বেড়া থানা নির্বাহী কর্মকর্তা, আমিনপুর থানা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিট বিভিন্ন দপ্তরে দিলেও কোন লাভ হয় নাই এক দিনের জন্য বালু উত্তোলন বন্ধ হয় নাই। এলাকাবাসী দ্রুত অবৈধ্য বালু উত্তোলন বন্ধের দাবী জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ।

(পিএস/এসপি/মে ০১, ২০১৯)