আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় ফণী’র আঘাতের আশংকায় বরগুনার সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জনসাধারনকে  সতর্ক করে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। উপকূলীয় এলাকার অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচলে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তন হলে যেকোনো সময় লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হবে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় এরমধ্যে সাগরে অবস্থান করা সকল মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকাগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসতে শুরু করেছে। 

বরগুনার পাথরঘাটা ও তালতলী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। ইতোমধ্যে গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলো তীরে ফিরতে শুরু করেছে। আর যেসব ট্রলার ও নৌকা সাগরে যেতে চাচ্ছিলো তাদের যাত্রাও বাতিল করেছে।

ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে দূর্গত এলাকা থেকে যাতে মানুষকে দ্রুত আশ্রয়ন কেন্দ্রে নেয়া যায় সেজন্য সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। আরও সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন, ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী বিভাগ, রেডক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিসসহ এনজিও ও সংশ্লিষ্টরা দফায় দফায় বৈঠক করছেন।

বরগুনা নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় এলাকার আভ্যন্তরীণ নৌযানগুলো চলাচলে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তন হলে যেকোনো সময়, ঢাকার ডাবল-ডেকার লঞ্চসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হবে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, জেলার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সকল সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রয়েছে। জনসাধারনকে সতর্ক করার জন্য জেলার ৬টি উপজেলার সকল শহর ইউনিয়নে মাইকিং করা হচ্ছে। সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরী সভা করেছে। ফলে উপকূলের আকাশে গুমট অবস্থা বিরাজ করছে।

(এন/এসপি/মে ০২, ২০১৯)