ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : বাবা-মার অগোচরে বেড়াতে যাওয়ার সময় পথে হারিয়ে যায় সোহাগ। যার আনুমানিক বয়স ৭ বছর। উপজেলার হারুয়া গ্রামের মুখলেসুর রহমানের ছেলে ড্রাইভার স্বপন মিয়া (৩৫) ২০১৭ সালের জুন-জুলাই মাসের দিকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার হারুয়া বাসস্ট্যান্ডে বাবা-মাকে হারিয়ে কাঁদতে দেখে সোহাগকে ঠাঁই দেয় নিজ বাড়িতে। কয়েক মাস সেখানে থাকার পর স্বজনের সন্ধান না মেলায় কিছুটা অনাদরের শিকার সোহাগকে আশ্রয় দেন স্বপনের চাচাতো ভাই একই গ্রামের  মৃত সোহরাব উদ্দিনের ছেলে ড্রাইভার শরীফ মিয়া (২৪)। সেই থেকে সোহাগ ওই পরিবারে বেড়ে উঠছে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও খোঁজ মিলছে না সোহাগের স্বজনদের । সোহাগ শরীফকে মামা ও শরীফের আম্মা জুমেলা খাতুনকে নানি বলে ডাকে। ওই পরিবারের সুখ-দুঃখের সমান ভাগিদার সোহাগ এখন গ্রামের ব্র্যাক পরিচালিত স্কুলের শিশু শ্রেণির ছাত্র ।

সোহাগের আচরণ বাড়ির সকলের মন কেড়ে নিয়েছে; সকলেই আদর করে সোহাগকে। এখন সোহাগ হয়ে ওঠেছে এ বাড়িরই একজন। কিছুটা তোতলা সোহাগ তার বাড়ি বটতলা, আব্বার নাম মাসুদ আম্মার নাম আছিয়া বলে জানায়। সে এও জানায় যে তার আব্বা হোটেলে রান্নার (বাবুর্চি) কাজ করে।

এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে সোহাগ জানায়, ‘আব্বা আম্মার লাইগ্যা আইজও আমার মনডা কান্দে, আফনেরা কেউ আমারে আব্বা-আম্মার কাছে নিয়া দেন’।

(এন/এসপি/মে ০২, ২০১৯)