মাদারীপুর প্রতিনিধি : খাদিজা নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে মাদারীপুর সদর থানার পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই স্বামীসহ সবাই পলতাক রয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবী খাদিজাকে (১৫) হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকিনওহাটা এলাকায়। খাদিজা একই ইউনিয়নের বড়খালপাড় গ্রামের মজিদ মোল্লার মেয়ে।

পারিবারিক, স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে একই ইউনিয়নের সিকিনওহাটা গ্রামের রব মাতুব্বরের ছেলে সিরাজুল মাতুব্বরের (২২) সাথে বড় খালপাড় গ্রামের মজিদ মোল্লার মেয়ে খাদিজার বিয়ে হয়। শশুরবাড়ির লোকজন বিয়ের পর থেকেই বিভিন্নভাবে যৌতুকের টাকা দাবী করে আসছে। কয়েকদফায় লক্ষাধিক টাকা দেয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে খাদিজার ভাই বিদেশ থেকে দেশে আসছে। সেই কারণে কয়েকদিন ধরে টাকার জন্য স্বামীসহ ননদরা মানুসিক ও শারিরিকভাবে অত্যাচার করছে। গত ৪দিন আগেই তাকে শারিরিক অত্যাচার করায় স্বামীর বাড়ী ছেড়ে বাবার বাড়ী চলে যায়।

পরে মঙ্গলবার বিকেলে খাদিজার বাবার বাড়ীতে তার ননদের স্বামী মো. কালন গিয়ে তাকে নিয়ে আসে। এরপর বুধবার দুপুরে খাদিজার স্বামীর বাড়ীতে ঘরের বাহিরে তালা মারা অবস্থায় পিছনের বারান্দার ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে বাধা অবস্থায় প্রতিবেশীরা খাদিজাকে দেখতে পায়। খবর পেয়ে খাদিজার বাবার বাড়ির লোকজন এসে উদ্ধার করে।

এসময় খাদিজার পরিবার দাবি করেন, তাকে হত্যা করে পরে ওড়না পেচিঁয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ তার শশুরবাড়ির লোকজন পলাতক আছে।

মাদারীপুর সদর থানার এসআই মো. মেহেদী হাসান বলেন, আমরা ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা আসার আগেই ঝুলন্ত লাশ ওড়না কেটে নিচে নামানো হয়েছে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় কিছু বলা যাচ্ছে না। এটা হত্যা না আত্মহত্যা। আমরা লাশটি ময়নতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এএসএ/এসপি/মে ০২, ২০১৯)