আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : সাইক্লোন ফণির প্রভাবে বরগুনার আমতলী তালতলীর ফকিরহাট তৎসংলগ্নসহ এলাকায় দক্ষিণের দমকা বাতাস শুরু হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় ফণি আঘাত হানতে পারে এমন শঙ্কায় উপকূললীয় পায়রা বন্দরসহ তৎসংলগ্ন এলাকার মানুষের মধ্যে এক ধরনের উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে উপকূলীয় উপজেলা আমতলীতে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’র ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপকুলীয় সকল জেলা-উপজেলার খাদ্য বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশনগুলোকে দুর্যোগ পরবর্তী যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সরোয়ার হোসেন শুক্রবার সকালে জানান, উপজেলার সকল সিপিপি ভলান্টিয়াররা মাঠে রয়েছেন। উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানার আগেই দুর্গত এলাকা থেকে যেন মানুষদের সরিয়ে নেয়া যায় এবং সকল সাইক্লোন শেল্টারগুলো ব্যবহার করা যায় সে জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৯ টি সাইক্লোন শেল্টার। আমতলী উপজেলা সদরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ১০ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মজুদ করা হয়েছে শুকনো খাবার। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সরোয়ার হোসেন শুক্রবার সকাল ১১ টায় বেড়ি বাধের বাইরে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ।

(এন/এসপি/মে ০৩, ২০১৯)