ঘূর্ণিঝড় ফণির সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় সাতক্ষীরাতে ১৬০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ঘূর্ণিঝড় ফণির সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল চারটায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সর্বশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ফণিসমূহ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এজন্য সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় সকলকে সর্তক থাকতে হবে। ইতোমধ্যে জেলায় ৭নং সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার জেলে-বাওয়ালীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল চারটা পর্যন্ত আশাশুনি, দেবহাটা, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
সভায় বলা হয়, জেলার ১৬০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও ১১৮টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম ও ৪৩৬০জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার,জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচির আওতার শ্রমিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৭০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। রাস্তার উপর গাছপালা অপসারনেরজন্য নয়টি ফায়ার সিভিল ডিফেন্স টিম প্রস্তুত রয়েছে। ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণসহ দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি নিশ্চিত করার কথা জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, ইতোমধ্যে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অফিসে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। নিয়ন্তণ কক্ষের ফোন নম্বর ০৪৭১৬৩২৮১।
সভায় জানানো হয়, জেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় ৩১৬ টন চাল, ১১ লক্ষ ৯২হাজার ৫০০ টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃণ নির্মাণে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি মজুদ আছে। ১২৫৩টি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বর্তমানে ফণি দুর্বল হয়ে পড়েছে দাবি করে জেলা প্রশাসক বলেন, রাতের জোয়ারে জলোচ্ছাসে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিতে পারে। এতেত ফসল ও চিংড়ি ঘের প্লাবিত হতে পারে। গভীর রাতে ফণি মোকাবিলায় সকলকে প্রস্তুত থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ প্রত্যক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
(আরকে/এসপি/মে ০৩, ২০১৯)