বেনাপোল প্রতিনিধি : দেশি-বিদেশি যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রাখতে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদুল ফিতরের ছুটি বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে সাতদিন ছুটি থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারের জন্য কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার সাধন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বছরের প্রতিটি দিনই আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট খোলা রাখার নিয়ম। তাই ঈদের ছুটি থাকার পরও বিশেষ ব্যবস্থায় যাত্রী পারাপার চালু রাখা হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই চেকপোস্টে কর্মরত কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বন্ধ হয়ে গেছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। শুক্রবার থেকে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। তবে বেনাপোল-হরিদাসপুর চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঈদের কারণে বেনাপোল দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার বেড়েছে। ইমিগ্রেশনে কর্মরত ৯০ শতাংশ সদস্যের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি পাসপোর্ট যাত্রীদের পারাপারের সুবিধার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

যশোর ২৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন বেনাপোল সদর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার রফিকুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে দায়িত্ব পালন করে বিজিবি। সরকারি এ জাতীয় ছুটি সবাই একসঙ্গে ভোগ করার কোনো ব্যবস্থা বিজিবির নেই। তাই চেকপোস্টে কর্মরতদের ছুটিতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, লম্বা ছুটির কারণে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে আসা ভারতীয় ট্রাক পণ্য খালাসের পর ফেরত যেতে পারবে।

(ওএস/এইচআর/জুলাই ২৬, ২০১৪)