সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : মৌসুমী ফলের জন্য বিখ্যাত কাপাসিয়া এলাকা। আম, কাঠাল,লিচু,পেয়ারা, আনারস, কলা, আপেলকুল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রায় সব মৌসুমী ফলই জন্মে এই কাপাসিয়া।

শীতলক্ষ্য, ব্রহ্মপুত্র ও বানার নদী বিধৌত এলাকা জুড়ে গাজীপরের এই কাপাসিয়া। এর মধ্যে বাংলা নববর্ষের প্রথম মাস বৈশাখে ডালে ডালে দোল খেতে শুরু করেছে মধুর ফল লিচু। বৈশাখের মাঝামাঝিতে এসে পাকতে শুরু করে এই লিচু। কোন কোন গাছের লিচু একটু আগেই লাল রং ধরতে শুরু করে। যেসব গাছের লিচু আগেই পেকে যায় তার দামও একটু বেশি থাকে। এলাকার বাজার গুলোতে এখরই উঠতে শুরু করে আধাপাকা লিচু।

কাপাসিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি লিচু জন্মে। এর মধ্যে নাশেরা, ঘিঘাট, গোসাইরগাও, বেগুনহাটি, বাড়ৈগাও, নাজাই, বড়হারটেক গ্রামে সবচেয়ে বড় বড় লিচু বাগান রয়েছে। কাপাসিয়া,রানীগঞ্জ, তারাগঞ্জ, রাওনাট, ইউনুসআলী মার্কেট, ঘাটকুড়ি বাজারে সবচেয়ে বেশী লিচু বেচা- কেনা হয়ে থাকে। লিচুর মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ঢাকার আড়ৎদারগণ এলাকর ব্যবসায়ীদের দাদন দিয়ে থাকেন। ঢাকা শহর সহ সার দেশে কাপাসিয়ার লিচুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

কাপাসিয়া উপজেলার ১১ ইউনিয়নের প্রায় গ্রামেই কম বেশী লিচু গাছ রয়েছে। গ্রামের কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনায় শোভা পায় লিচু গাছ। কৃষকের আয়ের প্রধান উৎস নানা ধরনের মৌসুমী ফল। এর মধ্যে লিচু প্রধান। লিচু বিক্রির আয় দিয়েই অনেক কৃষক সারাবছর সংসার চালায়।লিচুর প্রধান শক্র হলো রাতের বাদুড়। বাদুড়ের উপদ্রব থেকে লিচু রক্ষার জন্য কৃষকরা রাত জেগে পাহাড়া দেয়।লিচু গাছে টিন বা বাঁশের ঠাডা বাজিয়ে রাত জেগে বাদুড় তাড়িয়ে থাকে কৃষক। ইতোমধ্যে কোন কোন বাগানে রাতে লিচু পাহারা দেয়া শুরু হয়ে গেছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে কাপাসিয়ায় লিচু বেচা-কেনা পুরোদমে শুরু হবে বলে এলাকার কৃষক জানান।

(এসকেডি/এসপি/মে ০৪, ২০১৯)