সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : হত্যা মামলার বাদিসহ দু’জন আসামী পক্ষ পরিকল্পিতভাবে কোস্টগার্ড দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে গাবুরার গাগড়ামারি এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর গালিব হত্যা মামলার বাদী ইবাদত হোসেনসহ দু’জনকে আটক করা হয়।

স্থানীয় সুত্র জানায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের গাগড়ামারী ও পাশেমারি এলাকায় ৭০০ বিঘার একটি ঘের জালিয়াতির মাধ্যমে দখলে রাখার চেষ্টা করে একই ইউনিয়নের লক্ষীখালি গ্রামের মজিদ মেম্বর। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ আসাদুল আল গালিবকে গত ৩ নভেম্বর পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরদিন নিহতের ভাগ্নে শ্যামনগর উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের ইবাদত হোসেন বাদী হয়ে রবিউল ইসলামকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ নভেম্বর মারা যান আসাদুল আল গালিব। পরবর্তীতে কোস্টগার্ডকে প্রভাবিত করে মজিদ মেম্বার ওই ঘের পাহারার দায়িত্বে থাকা প্রতিপক্ষের ১৪জনকে বনদস্যু বানিয়ে গ্রেফতার করান মজিদ মেম্বর।
স্বজনদের অভিযোগ, অনেকদিন থেকেই মজিদ মেম্বর ও রবিউল এলাকায় ইবাদত হোসেনকে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। শনিবার সকালে মৎস্য ঘেরে কর্মরত থাকা অবস্থায় কোষ্টগার্ড তাকে আটক করে।
অপরদিকে মংলা কোষ্টগার্ডের অপারেশন অফিসার লে. কমান্ডার আলাউদ্দীন নয়ন জানান, ইবাদত হোসেন ও আ. জলিল চিহিৃত বনদস্যু। শনিবার ভোর রাতে গাগড়ামারি এলাকা থেকে তাদেরকে একটি দেশি পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলিসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

শ্যামনগর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, শ্যামনগর থানায় কোষ্টগার্ডের অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে দস্যুতাসহ অন্য কোন মামলা নেই। তিনি আরো বলেন, ইবাদত হোসেন ও আ. জলিলকে আটকের বিষয়টি তার জানা নেই।

(অারকে/জেএ/জুলাই ২৬, ২০১৪)