নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সুবর্ণচরে জায়গাজমি সংক্রান্ত শুত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী মামলা ২ কলেজ ছাত্রী সহ আহত হয়েছে ৬ জন। ঘটনাটি ঘটে  সুবর্ণচর উপজেলার ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের চরবাটা গ্রামে। আহত ২ কলেজ ছাত্র সৈকত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অধ্যায়নরত।

ভুক্তভোগী অভিযোগে জানা যায়, সুবর্ণচর উপজেলার ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের চরবাটা গ্রামের আনোয়ার বক্সের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস দির্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মৃত জেবল হকের জায়গা জমি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুর ২ টায় অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস এবং তার ৪ ছেলে আব্দুল্যাহ (৩৫), আজাদ (৩৩), মিজান (৩১), মাসুদ(২৮)সহ অজ্ঞাত৪/৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মৃত জেবল হকের দখলিয় ও মালিকীয় জায়জায় জবর দখল করে ঘর তুলতে চাইলে মৃত জেবল হকের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও তার ছেলে নুরুল হক(২৫) বাধা দেয় এতে অভিযুক্তরা হত্যার উদ্দ্যেশে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে খবর পেয়ে জেবল হকের ছেলে ফয়সাল উদ্দিন(১৫) কলেজে পড়ুয়া মেয়ে আয়েশা আক্তার (১৬), হাজেরা খাতুন(১৮) তাদের বাঁচাতে ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করে এবং কলেজ ছাত্রীদের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।

পরে এলাকাবাসী এসে আহতদের উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে আহতরা উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে চরজব্বার থানার এসআই শাহেদ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, ঘটনায় উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে আমরা তাদের চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। কেউ বাদী হয়ে মামলা করলে আমরা আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

খবর নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস বিরুদ্ধে রয়েছে খুন, ডাকাতি, নারী নির্যাতনসহ ৮/১০ টি মামলা মামলা নং ১৮০/২০১৫(হত্যা মামলা), ৫১৯/১৮(হামলা এবং ছিন্তাই), নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নং ৯৬২, পিটিশন মামলা নং ১৩৭/১০ সহ একাধিক মামলা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীরা আরো বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আব্দুল কুদ্দুস আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে গুম, খুন সহ নানা হুমকি দিচ্ছে এবং এর পূর্বেও একাধিকবার আমাদে উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। আমরা একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি, আমরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। উপযুক্ত বিচারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক সহ স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা।

অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুসের সাথে মুঠোফোনে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব মিথ্যা বানোয়াট, তাহলে তার বিরুদ্ধে এতো মামলা কেন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন যৌক্তিক উত্তর দিতে পারেন নি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান আহতরা।

(এস/এসপি/মে ০৬, ২০১৯)