নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় হতদরিদ্র এক ভটভটি চালকের সংসার চালানোর সম্বল একমাত্র ভটভটিটি পুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃৃত্তরা। এতেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। তারা ওই দরিদ্র ব্যক্তির ১০ কাঠা জমিতে লাগানো পটল ক্ষেতের সম্পূর্ন গাছ উপড়ে নষ্ট করে দিয়েছে। ফলে এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তি চালাবেন কিভাবে এবং স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে কি খাওয়াবেন, এ নিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হতদরিদ্র ওই ভটভটি চালক জুয়েল (২৭) ।

এ ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দিনগত রাতে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার খোর্দ্দনারায়নপুর নিচপাড়া গ্রামে।

ওই গ্রামের মিঠু মন্ডল ও স্বাধীনসহ বেশ কয়েকজন বলেন, গ্রামের জাইদুল রহমানের ছেলে হতদরিদ্র জুয়েল (২৭) এনজিও থেকে ঋণের টাকা কিস্তিতে নিয়ে একটি ভটভটি কিনে চালান এবং প্রতিবেশী হামিদ মৌলভীর ১০ কাঠা জমি বন্দকী নিয়ে সেই জমিতে পটল চাষ করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। এর মাঝে ৩০এপ্রিল দিনগত রাতে বাড়ির খলিয়ানে রাখা ভটভটিতে আগুন লাগিয়ে পুড়ে দেয় দূর্বৃত্তরা। সেই ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েন হতদরিদ্র জুয়েল।

সর্বশেষ সোমবার সকালে বিক্রির জন্য পটল তুলতে পটলের ক্ষেতে গিয়ে হতদরিদ্র জুয়েল দেখতে পান তার ১০ কাঠা জমিতে রোপনকৃত সম্পূর্ন পটলের গাছ উপড়ে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে ভিড় জমান এবং হা-হুতাশ করতে থাকেন।

এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ ভটভটি চালক হতদরিদ্র জুয়েল বলেন, আমার সাথে জায়গা- জমি নিয়ে কারো সঙ্গে কোন দ্বন্দ নেই । আমি অতি গরীব মানুষ। এনজিও থেকে ঋণের টাকা কিস্তিতে নিয়ে একটি ভটভটি কিনে আমি চালানোর পাশাপাশি একই গ্রামের হামিদ মৌলভীর ১০ কাঠা জমি বন্দকী নিয়ে ওই জমিতে পটল চাষ করে সংসার চালিয়ে আসছিলাম। মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে প্রথমে ভটভটি পুড়িয়ে দিলো এর পরেই আমার জমির সম্পূর্ন পটলের গাছ উপড়ে নষ্ট করেছে দূর্বৃত্তরা। এতে শুধু পটল ক্ষেতেরই আনুমানিক প্রায় দেড়লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি গরীব মানুষ আমার যে ক্ষতি করা হয়েছে এখন আমি স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে কি খাওয়াবো এবং এনজিও থেকে নেয়া ঋণের টাকার কিস্তি বা কিভাবে দিব।

(বিএম/এসপি/মে ০৬, ২০১৯)