সোহাগ হোসেন, দুমকি (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দুমকিতে ৩১শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবার মান ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে ধাবিত হচ্ছে। হাসপাতালটিতে জনবল সংকট, চিকিৎসা সরঞ্জামাদির অভাব, ওষুধ সংকটসহ ওষুধ কোম্পানির এমআরদের দৌরাত্ম, অভ্যন্তরীণ দলাদলির কারণে দেড় লক্ষাধিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা মুখথুবড়ে পড়েছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার জনসাধারণ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩১ শয্যার এ হাসপাতালে মঞ্জুরিকৃত ১২টি পদ থাকলেও ডাক্তার আছেন মাত্র ৪ জন। ৪জন মেডিকেল অফিসারের পোটিং থাকলেও জুনিয়র কনসালটেন্টের ৪টি পদে কোন কর্মকর্তা নেই এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর শহিদুল হাসান শাহীন ব্যস্ত থাকেন প্রশাসনিক কাজে। বাকী ৩জন মেডিকেল অফিসারের মধ্যে ডা. সাজ্জাদ আরএমও এর দায়িত্ব পালন করছেন।

অপর ২ জন দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার রোস্টার অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন। এ হাসপাতালে ডেন্টাল সার্জন, অর্থপেডিক্স, গাইনী, এনেসথিসিয়া বিশেষজ্ঞ পদগুলো রয়েছে শূণ্য। ইমার্জেন্সি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন একজন মেডিকেল ্এ্যাসিস্টেন্ট। প্রকৃতার্থে ২জন চিকিৎসক দ্বারাই চলছে হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রম। ভালো চিকিৎসক পোষ্টিং হলেও এখানে আসার পর পরই তারা নিজ থেকেই তদবির করে তাদের সুবিধামতো এলাকায় চলে যান।

প্রকল্প থেকে সাম্প্রতিক রেভিনিউএ রূপান্তরিত হাসপাতাল হওয়ায় এখানে চিকিৎসা সরঞ্জামাদির অভাব ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সংকট রয়েছে মারাত্মক ভাবে। বাজেট ঘাটতির কারনে সরবরাহ না থাকার অযুহাত শুনতে শুনতে এলাকাবাসী এখন বিরক্ত ও বিতশ্রুদ্ধ। ৫টি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক লোকের জন্য এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কার্যত: ডাক্তার রয়েছেন মাত্র ২ জন।

বর্তমানে হাসপাতালের এক্স-রে ও ইসিজি মেশিন দু’টি বিকল রয়েছে অনেকদিন ধরে। জরুরি বিভাগে ২ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও তা চলছে ১জন মেডিকেল অফিসার ও ১জন মেডিকেল ্এ্যাসিস্টেন্ট দিয়ে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প. প. কর্মকর্তা শহিদুল হাসান শাহীন জানান, আমি সব সময় প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকি, বর্তমানে ১২ জনের স্থলে মাত্র ৪ জন ডাক্তার রয়েছে। হাসপাতালের এক্স-রে ও ইসিজি নষ্ট রয়েছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটি সাম্প্রতিক সময়ে রাজস্বভুক্তি হলেও পুরোপুরি রেভিনিউ খাতের বরাদ্দ প্রাপ্তিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার আওতায় আসেনি। আশা করছি চলতি বছরের মধ্যেই জটিলতা কেটে যাবে, চিকিৎসা সেবারও মানোন্নয়ন ঘটবে।

(এস/এসপি/মে ০৬, ২০১৯)