বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট জেলায় ২৩৪টি ঘর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া ১ লাখাধিক লোকের ভাগ্যে জোটেনি সরকারের দেয়া শুকনা খাবার ও সহয়তা। ঘর্ণিঝড় ফনী আগাত হানার আগের দিন থেকে জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী মোংলা, শরণখোলা রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ছিলো নারী-শিশুসহ সাধারন মানুষে ভর্তি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে তৎপর থাকলেও বলতে গেলে তাদের জন্য শুকনা খাবার ও সুপেয় পানির তেমন কোন ব্যবস্থাই করেনি। ফলে তাদের না খেয়েই থাকতে হয়েছে।

ঘুর্ণিঝড় ফনী আগাত হানার আগের রাতে ও পরের দিন এসব উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র ঘুরে লোকজনের কাছ থেকে পাওয়া গেছে হাজারো অভিযোগ। ঘর্ণিঝড় ফনী মোকাবেলায় প্রস্ততি হিসেবে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনকে ত্রান মন্ত্রনালয় নগদ ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, ৩৯৭ মে.টন চাল ও দশ আইটেমের ২ হ্জার প্যাকেট শুকনা খাবার পাঠায়।

তবে, অধিকাংশের ভাগ্যে সরকারী কোন খাবার বা সহয়তা না মিললেও সোমবার দুপুরে শরণখোলা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নিবার্হী কর্মকর্তা সাউথখালী ইউনিয়নের বগি সরকারী বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা ২২৫টি পরিবার ৩দিন পর সরকারী খাদ্য সহয়তা পেয়েছেন। ঝড়ের আগের দিন বলে বলেথশ্বর নদীর পানির তোড়ে বগি বন্দর এলাকায় পানি উন্নয় বোর্ডের বেড়ীবাঁদ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রামের বাড়ী-ঘর তলিয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে এখনো বগিসহ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে অনেক পরিবার বসবাস করছেন।

তবে, বাগেরহাটের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার ও সুপেয় পানি না পাবার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।

(এসএকে/এসপি/মে ০৭, ২০১৯)