লাইফস্টাইল ডেস্ক : একটা সময় ছিল যখন ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সে গিয়ে মানুষের চুল পাকা শুরু হতো। তবে বর্তমানে ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সেই এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকেই। তরুণ বয়সে চুল পাকার কারণ হতে পারে মানসিক চাপ, দুষণ কিংবা অসুস্থতা।

স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে অল্প বয়সে চুল পাকার কারণগুলো তুলে ধরা হল।

মানসিক চাপ: মানসিক চাপ আমাদের অনেক ধরনের ক্ষতির পেছনে দায়ী, যার মধ্যে অকালে চুল পেকে যাওয়াও রয়েছে। ‘ক্রোমেজোম’য়ে জিনের ঘনত্ব বেড়ে যায় অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে, ফলে চুলে রং পরিবর্তন হয়। তাই চুলের রং ধরে রাখতে চাইলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

হরমোনজনীত পরিবর্তন: অকালে চুল পাকার একটি অন্যতম কারণ শরীরে হরমোনের মাত্রায় পরিবর্তন। পাশাপাশি এই কারণে চুলের ঘনত্ব, রং এবং বাইরের আস্তরেও পরিবর্তন আসতে পারে। এই প্রক্রিয়া সাধারণত ৩০ বছর বয়সের পর শুরু হয় যখন চুলে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা যায়।

পুষ্টিহীনতা: খাদ্যাভ্যাসে যদি সকল প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকে তবে অকালেই চুল পাকা শুরু হতে পারে। বিশেষত ভিটামিন বি টুয়েলভ’য়ের অভাবে চুল রুক্ষ, পাতলা এবং ধুসর বর্ণ ধারণ করে।

দুষিত আবহাওয়া: পরিবেশে মিশে থাকা দুষিত উপাদান শরীরের তৈরি করে ‘ফ্রি র‌্যাডিকাল’ বা মুক্ত মৌল। এই মুক্ত মৌল ‘মেলানিন’ নষ্ট করে, ফলে চুলের বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়া দ্রুত হয়ে যায় এবং অকালে চুল ধুসর হয়।

ধূমপান: শুধু সরাসরি নয়, পরোক্ষ ধূমপানের কারণেও চুল ধুসর বর্ণ ধারণ করতে পারে। যারা ধূমপান করেন তাদের অকালে চুল পেকে যাওয়ার আশঙ্কা অধূমপায়ীদের তুলনায় আড়াই গুন বেশি। ধূমপানের বদভ্যাস ত্যাগ করার আরও একটি কারণ।

রোগ: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাজনীত কিছু রোগের কারণে চুল পাকা শুরু হতে পারে অল্প বয়সেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাজনীত রোগ শরীরের কোষে আক্রমণ চালায়।

পারিবারিক কারণ: অকালে চুল পাকার আরেকটি বড় কারণ হল বাবা-মায়ের অকালে চুল পেকে যাওয়া। অনেকসময় চুলে রং পরিবর্তন মানুষের জীন প্রভাবিত করে।

(ওএস/এসপি/মে ০৭, ২০১৯)