কেন্দুয়া, (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোণা ইউনিয়নের দুরছাপুর গ্রামের ইউ.পি সদস্য মমতাজ উদ্দিনের বাড়িতে জুয়ার আসর থেকে জুয়ারী ধরতে গিয়ে দস্তা দস্তির সময় জুয়ারীদের আঘাতে পুলিশের  এস.আই তারেক মোহাম্মদ মাসুদ আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ এসময় জুয়া খেলার সরঞ্জামাদিসহ সান্দিকোণা ইউ.পি সদস্য মমতাজ উদ্দিন ও দুরছাপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রতন মিয়াকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোণা আদালতে পাঠিয়েছে।

কেন্দুয়া থানার কর্তব্যরত এস.আই তারেক মোহাম্মদ মাসুদ, এস.আই আহাদুল এ.এস.আই প্রদীপ ও এ.এস.আই বিল্লাল হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সান্দিকোণা বাজার এলাকায় ডিউটি করতে যান। সোমবার বিকালে ডিউটি কালীন সময়ে গোপন সূত্রে খবর পান ওই ইউনিয়নের দুরছাপুর গ্রামে ইউ.পি সদস্য মমতাজ উদ্দিনের বসত ঘরে জুয়া খেলার আসর বসেছে। এরই প্রেক্ষিতে ঘটনাটি কেন্দুয়া থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজীকে জানিয়ে জুয়ার আসরে হানা দেয় পুলিশ।

তারেক মোহাম্মদ মাসুদ দাবি করে বলেন, জুয়ারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরের বেড়া ভেঙ্গে স্বল্পমাইজহাটির টিটু, খিদিরপুরের মামুন, দুরছাপুরের খোকন ও আব্দুল গণি পালিয়ে যায়। তবে ইউ.পি সদস্য মমতাজ উদ্দিন ও রতন মিয়াকে গ্রেফতারের সময় দস্তা দস্তির এক পর্যায়ে তারা তারেক মোহাম্মদ মাসুদের উপর আঘাত করে। এতে পুলিশের এস.আই তারেক মোহাম্মদ মাসুদ আহত হয়ে কেন্দুয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।

এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানা পুলিশের এস.আই তারেক মোহাম্মদ মাসুদ বাদী হয়ে ইউ.পি সদস্যসহ ছয় (৬) জনের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে কেন্দুয়া থানায় একটি মামালা দায়ের করে মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত মমতাজ উদ্দিন ও রতনকে নেত্রকোণা আদালতে পাঠিয়েছে।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইমারত হোসেন গাজী জুয়ারী ধরতে গিয়ে দস্তাদস্তির সময় পুলিশের এস.আই তারেক মোহাম্মদ মাসুদ আহত হওয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

এ ব্যপারে তারেক মোহাম্মদ মাসুদ বলেন জুয়া আইনে একটি মামলা করেছি। তবে আহত হওয়ার ঘটনার মামলা কর্তৃপক্ষ জানেন।

কেন্দুয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ হাসান মঙ্গলবার বলেন, জুয়ারী গ্রেফতারের সময় দস্তাদস্তি করতে গিয়ে তারেক মোহাম্মদ মাসুদ আহত হয়েছে তবে এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।

(এসবি/এসপি/মে ০৭, ২০১৯)