উত্তম গোলদার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ঘূর্নিঝড়‘ফণী’র প্রভাবে মোট ১৮ কোটি ৩৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে মেন্দিয়াবাদ ও রামপুর গ্রামের পায়রা নদীর বাধঁ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে দুই শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয় ও ফসলের মাঠ তলিয়ে যায়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্নিঝড়‘ফণী’র কারণে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পায়রা নদীর পানি ৪-৫ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৪.৮৫ কিলোমটিার গ্রামাঞ্চাল প্লাবিত হয়, সম্পূর্ণ ঘড়বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ৫৭টি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ১১টি ঘরবাড়ি, মৃত ২টি ছাগল ও ১টি গরু,শস্য ক্ষেতের সম্পূর্ন ক্ষতি হয়েছে ৪৮৪ হেক্টর ও আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৩২৫ হেক্টর জমির ২০০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে,কাঁচা সড়ক আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৯ কিলোমিটার, আংশিক বাধেঁ ক্ষতি হয়েছে ২০ কিলোমিটার, বনায়নের সম্পূর্ণ ক্ষতি ৯ হাজার ৬০৬টি গাছ, আংশিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতি ১২টি,আংশিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্ষতি ৫টি, দুইটি কলেজ ও ৬টি মাদ্রাসার ক্ষতিসহ মোট ১৮ কোটি ৩৮ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩২৫ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস.এম দেলোয়ার হোসেন জানান, উপজেলার ঘূর্নিঝড় ফণীর প্রভাবে বেড়িবাধেঁর ক্ষতি হয়েছে বেশি। তবে ঘূর্নিঝড়ের দুইদিন আগে থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার সবদিকে নজর রেখেছেন। স্যার নিজেই পায়রা নদীর বেড়িবাধেঁর বাইরে থাকা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে সক্ষম হয়েছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল জাকী বলেন, ঘূনিঝড় ফনী’র কারনে উপজেলার ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৪৪৫জন মানুষ নিরাপদে আশ্রয়ে আনা হয়। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। উপজেলায় মেন্দিবাদের বেড়িবাধঁ ভেঙ্গে পানিঢুকে কয়েকটি গ্রামের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়ে ও রবি শস্যের ক্ষতি এবং কয়েটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বিধ্বস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যোই মেন্দিয়াবাদ গ্রামের পায়রা নদীর বেড়িবাধেঁর কাজ শুরু হয়েছে। বাধঁ নির্মান করা হলে ওই এলাকায় আর কেউ পানি বন্দি হবে না আশা করছি। তবে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করে উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

(ইউজি/এসপি/মে ০৮, ২০১৯)