রূপক মুখার্জি, নড়াইল : চার রাস্তার সমাহার-চৌরাস্তা। গুরুত্বপুর্ণ চারটি রাস্তা মিশেছে জিরো পয়েন্টে এসে। যশোর-কালনা মহাসড়কের লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তার লোহাগড়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্র তথা ব্যস্ততম জনবহুল এলাকা হিসেবে পরিচিত। এই চৌরাস্তা এলাকায় নড়াইল, যশোর, খুলনাগামী বাস-এক্সপ্রেসের স্টপেজ, থ্রি-হুইলার যান জেএস, ইজিবাইক ষ্ট্যান্ড, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ষ্ট্যান্ড ও ইজিভ্যান ষ্ট্যান্ড রয়েছে। যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা। তাছাড়া, লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় রয়েছে একটি কাঁচা বাজার। সারাদিন যানবাহন আর পথচারীদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে চৌরাস্তা এলাকা।

অধিক যানবাহন চলাচলের কারণে এখানে পথচারীদের কোন নিরাপত্তা নেই। পথচারীদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা আতঙ্কের মধ্যে চৌরাস্তা এলাকা অতিক্রম করে থাকে। যে কারণে ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় একটি ফুটওভার ব্রীজ নির্মানের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু জনদাবী পুরণে সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষই এগিয়ে আসে নাই। পরিবর্তিত সময়ের প্রেক্ষাপটে লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকাটি ক্রমশঃ একটি দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তার অবস্থান। এটি একটি ব্যস্ততম ও জনবহুল এলাকাও বটে। এখানে রয়েছে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, থ্রি-হুইলার যান জেএস, ইজিবাইক, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত ভ্যান ষ্ট্যান্ড। রয়েছে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মহিলা কলেজ। চৌরাস্তার অদূরে রয়েছে লোহাগড়া থানা ও উপজেলা কার্যালয় সহ বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিনই এ সব সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নানান শ্রেনী পেশার মানুষের আগমন ঘটে। আর এ সব আগত মানুষেরা চলাচলের জন্য লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকাকে ব্যবহার করে থাকেন।

যানবাহনের আধিক্যের কারণে চলাচলকারী মানুষেরা চরম ঝুঁকি ও ভয়ের মধ্যে চৌরাস্তা এলাকা অতিক্রম করে থাকে। সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগ পোহাতে হয় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের শহরের লক্ষ্মীপাশা এলাকার সাহিদুর রহমান তনু, রাজুপুরের সরকারি কর্মকর্তা চঞ্চল শেখ ও গোপীনাথপুরের সাংবাদিক বিপ্লব রহমান আলাপকালে জানিয়েছেন, সময়ের সাথে সাথে যানবাহন যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে জনসংখ্যাও । লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকাটি উপজেলার মধ্যে জনবহুল এলাকা। এখানে একটি ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ সময়ের দাবি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসবেন এমনটাই দাবি তাদের।

(আরএম/এসপি/মে ০৮, ২০১৯)