উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : কুমিল্লার বগাদিয়া নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মদ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। প্রায় ৪-৫ ঘন্টাব্যাপী উভয় পক্ষের আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ চলে। অবশেষে পাকসেনারা হতাহত সহযোদ্ধাদের নিয়ে চৌমুহনীর দিকে পিছু হটে।

পাকহানাদারবাহিনী দিনাজপুরের অমরখানার জগদল এলাকায় দৃঢ় প্রতিরক্ষা ঘাঁটি স্থাপন করে। অপরদিকে মুক্তিবাহিনী ভজনপুর মূল ঘাঁটি থেকে ৩/৪মাইল দূরে মাগুরমারী ও ময়নাগুড়ি নামক স্থানেদুটি ছোট ঘাঁটি স্থাপন করে।

ফরিদপুরের কোটালীপাড়া থানায় অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধা দল তীব্র আক্রমণ চালায়। থানায় অবস্থানরত সশস্ত্র পুলিশ ও মিলিটরি সৈন্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিবর্ষণের মুখে লড়াই করার সাহস হারিয়ে ফেলে এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে থানা ছেড়ে প্রাণ নিয়ে পালায়।

মুক্তিবাহিনীর ৬নং সেক্টরের ভজনপুর সাব-সেক্টরের দায়িত্বে সুবেদার মেজর কাজিমউদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হন ক্যাপ্টেন নজরুল।

ঢাকা জেলার নওবাবগঞ্জে পাকহানাদার বাহিনী প্রবেশ করেই বর্ধনপাড়া ও কলাকোপা গ্রামে হামলা চালায়। স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় হানাদাররা গ্রামের লোকজনকে নির্বিচারে হত্যা করে ও বাড়িঘরগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেয়। বর্বরদের পৈশাচিক হামলায় ২০ জন নিরীহ গ্রামবাসী নিহত হয়।

মুক্তিবাহিনীর ২নং সেক্টরে বিলোনিয়া সাব-সেক্টর প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সাব-সেক্টরের দায়িত্বে ইমাম নিযুক্ত হন ক্যাপ্টেন জাফর।

পাকসেনা ও রাজাকারদের একটি কনভয় ৫ ট্রাক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদসহ পত্নীতলা থানার হরতকিডাঙ্গা গ্রামের কাছে পৌঁছলে মেজর নাজমুলের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের গতি রোধ করএতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এ সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর কনভয় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় এবং প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ তাঁদের হস্তগত হয়।

কক্সবাজারে পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। সারাদিনব্যাপী তুমুল যুদ্ধ শেষে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।

জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য জামায়াত নেতা মওলানা এ.কে.এম ইউসুফের নেতৃত্বে খুলনা কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। শান্তি কমিটি প্রশাসনকে সাহায্য করার জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করে।

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

(ওএস/এএস/মে ০৯, ২০১৯)