গাজীপুর প্রতিনিধি : হালকা বৃষ্টির ফলে পিচ্ছিল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ধীর গতি হলেও যানজট নেই। বিপুল সংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করার কারণে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার বেলা দেড়টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় দেখা যায়, হালকা বৃষ্টিতে সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। পুলিশ মাথায় ছাতা দিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। কোথাও গাড়ি আটকে পড়লে তাৎক্ষনিকভাবে মোবাইল টিম গাড়িটি সরিয়ে নিচ্ছে।

মাওনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ছানোয়ার হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাস্তায় কোন যানজট নেই। আশা করি এবার যানজট হবে না।

এদিকে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে ঈদ করতে গাজীপুর মহানগর থেকে মানুষ নিজ নিজ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। শনিবার দুপুর পর্যন্ত গাজীপুরের গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন পয়েন্ট ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় দেখা গেছে যানবাহনের সংখ্যা তুলনায় কম। এই মহাসড়কের টঙ্গী থেকে মাওনা পর্যন্ত নিত্য দিনের মতো যানজটও নেই।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমুখীমোড়- যেখানে প্রতি ঈদেই যানজট লেগে থাকে। এবার সেখানেও যানজটও নেই। তবে চন্দ্রায় চালকদের যানবাহনগুলো এলোমেলো ভাবে পার্কিং করার প্রবনতা রয়েই গেছে। যা যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ।

এদিকে যাত্রীদের ধারণা বিকালে যাত্রী সংখ্যা ও যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলে যানজট হতে পারে।

গাজীপুর জেলার উপর দিয়ে যাওয়া ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল আর টঙ্গী-নরদিংদী এই ৩টি মহাসড়কে বাস, মিনিবাস ও হালকা যানবাহনের ভেতরে স্থান না পেয়ে অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে উঠে নারীরটানে বাড়ি ফিরছেন।

গাড়িতে ভীড় থাকলেও এসব মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে নির্বিঘ্নে। মহাসড়কের কোথাও যানজট নেই। এরই মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে চন্দ্রা ত্রিমুখীমোড় ও চান্দনা চৌরাস্তায় জড়ো হয়েছেন শত শত মানুষ। তবে এসব ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের জন্য রয়েছে পরিবহন সংকট।

এদিকে শনিবারও ছুটি হয়নি গাজীপুরের বেশির ভাগ পোশাক কারখানার। এসব কারখানা একযোগে ছুটি হলে কিছুটা যানজট তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। যানজট নিরসনে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ কাজ করছে বলে জানালেন টঙ্গী থানার অফিসার ইন চার্জ(ওসি) ইসমাইল হোসেন। মহাসড়কে তেমন যানজট হবে না বলেও জানান তিনি।

পুলিশ প্রশাসন অবশ্য সড়কের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে কাজ করছেন পরিকল্পিত ভাবে। জেলা পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন নিজেই সড়ক পরিস্থিতি তদারকি করে অধীনস্তদের নির্দেশনা দিচ্ছেন।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে গাজীপুর ট্রাফিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ৪ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৯ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ১০ জন ইন্সপেক্টর সহ প্রায় সহস্রাধিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করবে। রাত এবং দিনে ১২ ঘন্টা করে ২ শিফটে কাজ করবে আমাদের পুলিশ সদস্যরা।

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের টঙ্গী বাজার থেকে জয়দেবপুর চান্দনা চৌরাস্তা হয়ে জৈনা বাজার পর্যন্ত, মীরের বাজার থেকে টঙ্গী, এবং আশূলিয়া থেকে চন্দ্রা, ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে চন্দ্রা হয়ে স্কয়ার পর্যন্ত মোট ৩৮টি পয়েন্টে ৩৮টি টিম থাকবে। এই ৩৮টি পয়েন্টের মাঝ পথে সমস্যা দূর করতে মোটরসাইকেল যোগে মোবাইল ডিউটি করবে মোট ১৯টি টিম।

পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন বলেছেন, দ্রুতসময়ে গাড়ি যাতে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, সে লক্ষে পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।

(ওএস/এটিঅার/জুলাই ২৬, ২০১৪)