নিউজ ডেস্ক : মেয়েরা নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক সময়েই অবহেলা করে থাকেন। অনেক অভিভাবকগণ নিজের মেয়ে শিশুটির খাবার নিয়ে বেশি চিন্তা করেন না। আবার একজন নারী নিজের চাইতে নিজের পরিবারের সকলের খাবারের প্রতি নজর দিতে গিয়ে নিজের খাবারের প্রতি খুব বেশি লক্ষ্য রাখতে পারেন না। এভাবেই নারীদের স্বাস্থ্যকর খাবারের ঘাটতি পড়তে দেখা যায়।

কিন্তু নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করাটা একেবারেই উচিৎ নয় কোনো নারীর। কারণ তার সাথেই জড়িত থাকে পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যের ব্যাপারটি। তাই নারীদের নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রেখে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিৎ কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার। চলুন তবে আজকে দেখে নেয়া যাক নারীর সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের একটি তালিকা।

তিলবীজ
প্রতিদিন তিলবীজ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরী প্রতিটি নারীর। তিলবীজ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের অনেক ভালো উৎস। এতে করে হৃদপিণ্ডের সমস্যা ও স্তন ক্যান্সারের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন নারীরা। এছাড়াও তিলবীজে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা বাতের সমস্যা এবং হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজি সকলেরই বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিৎ। বিশেষ করে নারীদের। শাকসবজির ভিটামিন, খনিজ এবং ম্যাগনেসিয়াম দেহের উন্নতি সাধনে সহায়তা করে। ক্যান্সার, মুটিয়ে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সবুজ শাকসবজির তুলনা নেই।

বাদাম
বাদামের ফ্যাট নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাদামের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোস্টেরলস স্তন ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হাড়ের গঠন মজবুত করে, হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা দূর করে এবং বিষণ্ণতা দূর করতে সহায়তা করে।

ওটস
ওটস খেতে খুব বেশি সুস্বাদু না হলেও এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ যা নারীর স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। ওটস নারীদের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয় একটি খাবার। প্রতিদিন ওটস খেলে হৃদপিণ্ড কর্মক্ষম থাকে, হজম শক্তি উন্নত হয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ওটসের ফলিক অ্যাসিড গর্ভবতী নারীদের জন্য অত্যন্ত জরুরী। এতে করে শিশু জন্মে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয় না।

দুধ
বেশিরভাগ নারীকেই ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগতে দেখা যায়। এই অভাবপূরণের জন্য প্রতিদিন ১ গ্লাস দুধ যে কোনো বয়সী নারীর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে করে হাড়ের যে কোনো সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন নারীরা।

টমেটো
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য সবচাইতে প্রয়োজনীয় যে উপাদান তার নাম ‘লাইকোপিন’। টমেটো লাইকোপিনের সব চাইতে ভালো উৎস। এছাড়াও প্রতিদিন একটি টমেটো হৃদপিণ্ডের যেকোনো সমস্যা দূরে রাখতে সহায়তা করে।

(ওএস/অ/জুলাই ২৬, ২০১৪)