নওগাঁ প্রতিনিধি : কয়েকদিনের তীব্র রোদে নওগাঁ অঞ্চলে আগুনের হল্কা বইছে। দিনের বেলায় কখনো কখনো তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছেড়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। প্রচন্ড তাপদাহে সারাদেশের মত পুড়ছে নওগাঁ জেলাও। অসহনীয় গরমে কাহিল হয়ে পড়েছে রোজাদাররা। গরমের হাত থেকে রেহায় পেতে মানুষের মধ্যে যেন হাহাকার পড়ে গেছে। শুক্রবার দুপুরে নওগাঁয় বেসরকারীভাবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২ দিন তাপমাত্রা আরও বাড়বে।

তীব্র রোদ আর অসহনীয় গরমে দুপুরে শহরের রাস্তাঘাট একদম ফাঁকা। ফুটপাতের দোকানীরাও বসছেনা। ক্ষুদ্র যানবাহন বিশেষ করে রিক্সা-ভ্যানও চলছেনা। গরমে মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে। এদিকে তীব্র গরমে মাঠের বোরো ধান কাটার কামলা সংকট দেখা দিয়েছে। মাঠের ধান পেকে ঝুনা হয়ে গেছে। এই পাকা ধান ক্ষেত থেকে ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। কিন্তু ৬শ’ টাকা মজুরিতেও কামলা মিলছেনা।

তীব্র রোদ আর অসহনীয় গরমে কামলারাও মাঠে ধান কাটতে যেতে চাইছেনা। এই সবকিছুর জন্য অসহনীয় গরমকেই দায়ী করছে কৃষকরা। এমনকি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফলানো বোরো পাকা ধান ঘরে তুলতে অনেক কৃষকরা প্রতিমন ধানের বিপরিতে (অর্থাৎ প্রতি ৪০ কেজিতে ২০ কেজি ) ২০কেজি করে ধান দিয়ে ধান কাটার শ্রমিকদের দিয়ে মাঠ (জমি) থেকে ধান কেটে এনে ঘড়ে তুলতে বাধ্য হচ্ছেন। তারপরেও মিলছেনা ধান কাটার শ্রমিক।

প্রচন্ড গরমে মানুষের পাশাপাশি প্রানীকুলেরও নাভিঃশ্বাস। এদিকে অসহনীয় গরমে মানুষের শরীর থেকে ঝড়ঝড় করে ঘাম ঝড়ছে। পানিশূন্যতাসহ ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।বৃদ্ধ এবং শিশুরাই এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে বেশী।

(বিএম/এসপি/মে ১০, ২০১৯)