ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী :  ৪ মে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ল-ভ- হয়ে গেছে নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার ৫ নং চরজুবিলী ইউনিয়নের চর জিয়া উদ্দিন খলিল চেয়ারম্যান বাজারে অবস্থিত 'কামরুন নাহার শিউলী একরাম উচ্চ বিদ্যালয়' দির্ঘ ৭ দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকারি সহায়তা তো দূরের কথা রাজৈনতিক কোন ব্যাক্তিবর্গ ও এক নজর দেখতে যায়নি প্রত্যান্ত অঞ্জলে একমাত্র শিক্ষার আলো ছড়ানো কামরুন নাহার শিউলী একরাম উচ্চ বিদ্যালয়টি।

এ নিয়ে নিয়ে সৃস্টি হয়েছে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষিকা সহ অভিভাবকদের মাঝে। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নোয়াখালী ৪ আসনের মাননীয় সংসদসদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর সহধর্মী, কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলী একরামের নামে বিদ্যালয়টি ২০১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি স্থানীয় সমাজ সেবক, বিশিষ্ঠ শিক্ষানুরাগী আবু কালাম সফি চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেন।

বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং ৫ জন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। মাত্র দেড় বছরেই ঐ এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। খুশির জোয়ার বয়ে যায় এলাকাবাসীর মাঝে, ছাত্র-ছাত্রীরা ও নিজ এলাকায় উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হওয়ায় মহা খুশি, তারা এগিয়ে যাচ্ছে মেধা মননে।

কিন্তু সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী, টিন সেড়ের ৪ টি ভবনের মধ্যে ৩ টি ভবন সম্পূর্ণ ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায় এবং অন্য ভবনটির অধিকাংশ টিন, চেয়ার, টেবিল সব যাবতীয় আসবাব নষ্ট হয়ে যায়। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু কালাম সফি চৌধুরী বিদ্যালয়ের বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু ওয়াদুদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, চর জব্বার থানার ওসি শাহেদ উদ্দিন চৌধুরী, স্খানীয় চেয়াম্যান মোহাম্মদ হানিফ চৌধুরীকে মৌখিক ভাবে বিষয়টি জানালেও আজ পর্যন্ত বিদ্যালয়টি কেউ পরিদর্শনে যায়নি! এমনকি যারা সারাদিন একরাম চৌধুরীর পিচনে স্লোগান দিতে ব্যস্ত সেসব রাজৈনতিক কোন নেতা কর্মিও যায়নি সংসদ সদস্যর স্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে।

এলাকাবাসী দাবী দ্রুত বিদ্যালয়টির আগের রুপে ফিরিয়ে দিতে স্থানীয় প্রশাসন সহ স্থানীয় সংসদসদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে মুঠো ফোনে আলাপ করতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় ।

(এস/এসপি/মে ১১, ২০১৯)