মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার ভাংগুড়া প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের কথা বলে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি পরিমল কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে।

বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামানসহ অন্যরা জানান, ২০১৭ সালে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি থাকা কালিন পরিমল ঘোষ ভাংগুড়া প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের কমিটিতে মোট ৩ জনকে চাকুরীতে নিয়োগদেন। এরা হচ্ছেন জুনিয়র শিক্ষক পদে জিন্নাত হোসেন, কম্পিউটর অপারেটর কাম প্রহরী পদে মবিন শেখ ও একই পদে শাহ সিকান্দারকে নিয়োগের কথা বলে টাকা নেন। নিয়োগদান কালে এ ধরনের কোন প্রজ্ঞাপন সরকারিভাবে জারি করা হয়নি। যে কারনে এই নিয়োগের কোন ভিত্তি নেই। অথচ এই ৩ কর্মচারী নিয়োগ বাবদ সভাপতি পরিমল ঘোষ ৪ লাখ টাকার উৎকোচ নিয়েছেন।

পরবর্তীতে জানাজানি হলে কমিটি বিলুপ্ত করে কামরুজ্জামানকে সভাপতি করে নতুন কমিটি গঠন করে বেসরকারি সংস্থা রান ডেভেলপমেন্ট । পরিমল ঘোষ স্থানীয়ভাবে নতুন কমিটি ভুয়া ও তাকে জোর করে অপসারনের চেষ্টা চলছে বলে তিনি অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এ কারনে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পরিমল কুমার ঘোষ জানান, আমি নিয়োগ দেয়ার নাম করে কারো কাছ থেকে টাকা পয়সা নিই নাই। সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে স্কুলটি করেছি। আমাদের আগের কমিটির মেয়াদ শেষে গত ০৩.১২.১৮ তারিখে নতুন করে সমাজসেবা অধিদপ্তর ও রান পেভেলপমেন্ট এর অনুমোদনে নতুন কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু অনুমোদিক কপি দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেননি।

বেসরকারি সংস্থা রান ডেভেলপমেন্টের ডিভিশনাল জোনাল ম্যানেজার জাহিদ হাসান জানান, ভাংঙ্গড়া প্রতিবন্ধী স্কুলটি আমাদের সংস্থার মাধ্যমে তৈরী হয়েছে। সমাজসেবার অনুমোদন বা তাদের মাধ্যমে নয়। যে কারনে কমিটির অনুমোদন আমাই দিয়ে থাকি, সমাজসেবা নয়। পরিমল ঘোষকে সভাপতি করে কোন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়নি। কামরুজ্জামানকে সভাপতি করে ২১ সদস্যের একটি কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

(ডিসিপি/এসপি/মে ১২, ২০১৯)