বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দুরে উত্তর কদমতলা গ্রাম। আশপাশের সবখানেই বিদ্যুতের আলোয় ঝলমল করছে। অথচ উত্তর কদমতলা গ্রামের ৩০টি শ্রমজীবী পরিবারে আজও বিদ্যুতের আলো যায়নি। খুটি ও তার টানার তিন বছরেও বিদ্যুঃ না পাওযায় এসব পরিবারে প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছেনা।

রবিবার দুপুরে শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবারের অর্ধশত নারী-পুরুষ। এসময় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন।

শরণখোলা পল্লী বিদ্যুতের এরিয়া অফিস জানায়, গ্রাহকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রায় তিন বছর আগে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে সেখানে খুঁটি বাসানো এবং তার টানা হয়েছে। শুধু সংযোগ দেওয়া বাকি। এমন সময় আবেদনকারীদের মধ্য থেকে সোবাহন হাওলাদারসহ কয়েকজন তাদের জমির ওপর থেকে খুঁটি ও লাইন টানার অভিযোগে ২০১৮ সালের ১৮ ও ১৯ মার্চ আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। ফলে, বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

বিদ্যুৎ বঞ্চিতদের পক্ষ থেকে আমীর আলী ফকির (৭৮), আলী মিয়া তালুকদার (৭৫), জাহানারা বেগম (৫০) ও রাবেয়া বেগম ৫৫) বলেন, আামরা শহরের পাশে বাস করেও আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাইনি। অনেক চেষ্টা করে লাইন আনা হয়েছে, কিন্তু মামলাবাজ একটি পরিবারের কারনে আমাদের এতোগুলো পরিবারকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

শরণখোলা পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক অফিসের এজিএম আবু সাইদ মো. খায়রুল আলম বলেন, সবার মতামত নিয়েই তখন খুঁটি, তার বসনো হয়। যারা মামলা করেছেন তারাও বিদ্যুতের আবেদনকারী। অথচ এখন তারা বলছেন তাদের বাড়ির ওপর থেকে লাইন নিকে দেবেন না। মামলা নিষ্পত্তি বা উভয় পক্ষ সমঝতা না হলে সংযোগ দেওয়া যাচ্ছেনা।

শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আকন বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে তারা চক্রান্ত করছে। এব্যাপারে উভয় পক্ষ নিয়ে বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

(এসএকে/এসপি/মে ১২, ২০১৯)