নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্টের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে দোকানপাঠ ও গাড়ি ভাংচুর করে।  এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শর্টগানের বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে।  এতে অন্তত ১০জন আহত হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে আ.লীগের জেলা কার্যালয়ে একটি বৈঠক চলছিল। আসন্ন নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

এতে সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আ.লীগ সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন এবং জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম সামছুদ্দিন জেহানকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়নের জন্য কথা হয়। এ সময় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্টকে মনোনয়ন না চাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন সাংসদ।

এরপরই ইমন ভট্টের সমর্থকরা বাহিরে প্রধান সড়কের দোকানপাঠে ও গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ সময় তার সমর্থকরা যাত্রীবাহী ও বিভিন্ন স্ট্যান্ডে থাকা অন্তত ৫০টি গাড়ি ভাংচুর করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে জেলা আ.লীগ কার্যালয় থেকে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী লাঠি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে রাস্তায় বের হয়ে যুবলীগের কর্মীদের ধাওয়া করে।

সুধারাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। তবে এতে কেউ আহত হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না।

(ওএস/এসপি/মে ১৩, ২০১৯)