স্টাফ রিপোর্টার : স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় করা একটি মামলায় হাবিবুর রহমান (২৬) নামে এক যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামি হাবিবুর আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। হাবিবুর গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন মারতা গ্রামের মো. বাবুল হোসেনের ছেলে।

আদালতের পেশকার জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ব্যাংকক থেকে থাই এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন হাবিবুর রহমান। ইমিগ্রেশন শেষে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার পর কাস্টমস কমিশনার মো. লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল তার কাছে কোনো স্বর্ণ বা অবৈধ কিছু আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। এরপর তাকে তল্লাশি করলে হাঁটুর পেছনে অ্যাংলেটে আটকানো ২৮ পিস স্বর্ণবার এবং প্যান্টের মানিব্যাগের মধ্যে ৬ পিস স্বর্ণের বার ও ঘাড়ে ঝোলানো ব্যাগের ভেতর একপিস স্বর্ণবারসহ মোট ৩৫ পিস স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়। যার মোট ওজন সাড়ে ৩ কেজি।

এ ঘটনায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আছর উদ্দিন রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে হাবিবুরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন হাবিবুর। ওই বছরের ১৭ এপ্রিল বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান আসামি হাবিবুরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন। মামলায় একই বছরের ২৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার ১৩ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।

(ওএস/এসপি/মে ১৩, ২০১৯)