স্পোর্টস ডেস্ক : আয়ারল্যান্ডে চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজটা দুর্দান্ত কাটছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে বাতিল হলেও, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরপর দুই ম্যাচে হারিয়ে এরই মধ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে টাইগাররা।

সোমবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দ্বিতীয় সাক্ষাতে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচে ফিফটির দেখা পেয়েছেন মুশফিকুর রহীম ও সৌম্য সরকার। বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।

এছাড়া মাশরাফি বিন মর্তুজা শিকার করেছেন ৩টি উইকেট, সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজের ঝুলিতে জমা হয়েছে ১টি করে উইকেট। আর এ ম্যাচের মধ্য দিয়েই দারুণ দুইটি মাইলফলকে পৌঁছেছেন টাইগার অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ক।

দুই দফায় বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে এখনো পর্যন্ত ৭৫টি ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি। সবকয়টি ইনিংসে বোলিং করে তার ঝুলিতে উইকেটসংখ্যা এখন ৯৭। যা কিনা ওয়ানডে ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড।

এ তালিকায় চার নম্বরে ওঠার পথে ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেছেন মাশরাফি। অধিনায়ক হিসেবে ৯৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শুরু করে শাই হোপের উইকেট নেয়ার মাধ্যমে মাশরাফি ছাড়িয়ে যান ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে।

পরে হোল্ডারের উইকেটের পর মাশরাফি পাশে বসেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনিসের। অধিনায়ক হিসেবে ওয়াকারের উইকেটসংখ্যাও মাশরাফির সমান ৯৭। তবে তিনি অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন ৬২ ম্যাচ।

অন্যদিকে সোমবারের ম্যাচে কিপটে বোলিংয়ে ১০ ওভারে মাত্র ২৭ রান খরচ করেছেন সাকিব, নিয়েছেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের উইকেট। এরই মাধ্যমে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশি এ অলরাউন্ডার।

এখনো পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলে সাকিব খেলেছেন ৩২৪ ম্যাচ, এর মধ্যে ৩৫৮ ইনিংসে বোলিং করে তার ঝুলিতে উইকেটসংখ্যা ৫৪২টি। তার চেয়ে ঠিক ২০০ ম্যাচ বেশি খেলে আফ্রিদি শিকার করেছিলেন ৫৪১টি উইকেট।

আর মাত্র ৩ উইকেট পেলে তিন ফরম্যাটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকার মর্নে মরকেল, ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং পাকিস্তানের কিংবদন্তি অধিনায়ক ইমরান খানকেও পেছনে ফেলে দেবেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

ওয়ানডে ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি

১. ওয়াসিম আকরাম - ১০৯ ম্যাচে ১৫৮ উইকেট, সেরা বোলিং ১৫ রানে ৫ উইকেট
২. শন পোলক - ৯৭ ম্যাচে ১৩৪ উইকেট, সেরা বোলিং ৩৭ রানে ৫ উইকেট
৩. ইমরান খান - ১৩৯ ম্যাচে ১৩১ উইকেট, সেরা বোলিং ২৭ রানে ৪ উইকেট
৪. মাশরাফি বিন মর্তুজা - ৭৫ ম্যাচে ৯৭ উইকেট, সেরা বোলিং ২৯ রানে ৪ উইকেট
৫. ওয়াকার ইউনিস - ৬২ ম্যাচে ৯৭ উইকেট, সেরা বোলিং ৩৬ রানে ৭ উইকেট

(ওএস/এসপি/মে ১৪, ২০১৯)