রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : মৃত্যুর ১৬ বছর পর এক মুক্তিযেদ্ধার নামে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৭ মে সাতক্ষীরা সদরের হাওয়ালখালি গ্রামের যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম রিপনের স্ত্রী মোমেনা খাতুন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মোমেনা খাতুনের অভিযোগ থেকে জানা যায়, কাওনডাঙা বাজারের একটি ঘর লীজ নিয়ে সেটিকে ইউনিয়ন যুবলীগের অফিস তৈরি করেন যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম রিপন। গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঝাউডাঙা ইউনিয়নের গোবিন্দকাটি গ্রামের ভদ্র শেখের ছেলে ২০০৩ সালের ৭ জুলাই মারা যাওয়া মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার শেখসহ ১০জন ওই যুবলীগ অফিসটি ভাঙচুর করেন। ভাঙচুর করা হয় ওই অফিসের মধ্যে থাকা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র।

এ ঘটনায় শেখ সরোয়ার হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আনীত মোমেনা খাতুনের অভিযোগটি গত ৭ মে মামলা (১৪নং)হিসেবে রেকর্ড করেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মহিদুল ইসলাম।

এদিকে গোবিন্দকাটি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মৃত্যু সনদ অনুযায়ি ২০০৩ সালের সাত জুলাই তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা শেখ সরোয়ার হোসেন মারা যান। গত ৮ মে তিনি খবর পান যে তার বাবাকে যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম রিপনের স্ত্রীর সদর থানায় দায়েরকৃত ১৪ নং মামলার ১০ নং আসামী করা হয়েছে। মামলায় তার বাবার বয়স দেখানো হয়েছে ৫০ বছর।

মামলার বাদি মোমেনা খাতুন জানান,তিনিতো সকলকে চেনেন না, তার স্বামী যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই তিনি মামলা দিয়েছেন।

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সানা জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ভুলবশতঃ পরোয়ার শেখের স্থলে তার প্রয়াত ভাই সরোয়ার শেখের নাম এসে গেছে। পুলিশ প্রতিবেদনে সেটি ঠিক করে দেওয়া হবে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পরোয়ার শেখের পরিবর্তে টাইপে তার ভাই মৃত সরোয়ার শেখ হয়ে গেছে। সেটা তদন্ত শেষে পুলিশ প্রতিবেদনে সংশোধন করে দেওয়া হবে।

(আরকে/এসপি/মে ১৪, ২০১৯)