কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের প্রবাসী স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে । এ ব্যাপারে  থানা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কাপাসিয়া উপজেলার দূর্গাপুর পশ্চিম পাড়ার কফিল উদ্দিন সরকারের প্রবাসী পুত্র আলমগীর সরকারের সাথে পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর উপজেলার বেলদিয়া গ্রামের মোঃ আঃ সাহিদ শেখের কন্যা মানসুরা খাতুনের গত ২০১৩ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী আলমগীরের ব্যবসা ভাল যাচ্ছে না বলে মানসুরাকে জানায়। এবং বাপের বাড়ী থেকে কিছু টাকা আনার জন্য মনসুরাকে চাপ দেয়। পরে বাধ্য হয়ে মনসুরা বাপের বাড়ী থেকে টাকা এনে তার আত্বীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে আলমগীরকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দেয়া হয়।

পরবর্তীতে সে সাউথ আফ্রিকা চলে যায় এবং ২ বছরের বেশী সময় বিদেশে থাকার পর আবার আলমগীর বাড়ি ফিরে আসে। কিছুদিন বাড়িতে বসবাস করার পর পুনরায় সাউথ আফ্রিকা চলে যায়। ইতিমধ্যে তাদের সংসারে মেহরিমা সরকার নামে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। গত ১৩/২/২০১৯ তারিখে আলমগীর বাড়িতে ফিরে আসে এবং পুনরায় মানসুরার পরিবারের নিকট আরো ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেন। স্বামীর দাবীকৃত ৫ লাখ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শুরু হয় স্ত্রীর উপর নির্যাতন এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায় ঝগড়া বিবাদ হতো।

এ নিয়ে গত ৯/৫/২০১৯ তারিখে সকালে স্বামী আলমগীর, মানসুরার কাছে টাকা দাবী করে কিন্তু মনসুরা টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে স্বামী আলমীর ফারুক ও নাঈম মনসুরার ঘরে ঢুকে মানসুরাকে শারীরিক নির্যাতন করে রক্তাক্ত জখম করে। নির্যাতনের এক পয্যায়ে মানসুরা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকে। পরে প্রতিবেশীরা মানসুরার ভাই সাহাদাৎ হোসেন ও বোনের জামাই রফিকুল ইসলামকে খবর দিলে তারা এসে মনসুরাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় পরে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমনে কার অবস্থা আশংখাজনক অবস্থায় রয়েছে বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়।

থানার ডিউটি অফিসার জানান,এ ব্যাপারে মানসুরা খাতুন বাদী হয়ে স্বামী আলমগীর সরকার, তার ভাই ফারুক ও নাঈমের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের ধরার চেস্টা চলছে।

(এসকেডি/এসপি/মে ১৫, ২০১৯)