স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : শ্যুটিং থেকে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের মুখ ফের উজ্জ্বল হলো। শুক্রবার কমনওয়েলথ গেমসের দ্বিতীয় দিন গ্লাসগোর অদূরে অবস্থিত ড্যান্ডির ব্যারী ব্যাডন শ্যুটিং সেন্টারে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে রৌপ্যপদক জিতে বাংলাদেশকে ফের বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আবদুল্লাহ হেল বাকী।

তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ইভেন্টে তিনি ২০২.১ পয়েন্ট স্কোর করে এই সফলতা লাভ করেন। ওই ইভেন্টে তাকে সামান্য পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে দিয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন প্রতিবেশী দেশ ভারতের অভিনব বিন্দ্রা। সাবেক অলিম্পিক স্বর্ণপদক জয়ী ওই ভারতীয় স্কোর করেছেন ৩০৫.৩ পয়েন্ট। যেটি কমনওয়েলথ গেমসের ফাইনাল প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও নতুন রেকর্ড। প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছেন ইংল্যান্ডের ড্যানিয়েল রিভার্স। তার সংগ্রহ ১৮২.৪ পয়েন্ট।

পদক প্রাপ্তির পর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ দলের এই কৃতি শ্যুটার বলেন, আমি পদকের কথা না ভেবে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমার সেরা পারফরমেন্স করতে পারলে স্বর্ণপদক জয় করাটা অসম্ভব ছিলো না।

দিল্লিত ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত দলীয় ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী বাকী আরো বলেন, পরিবেশ পরিস্থিতি সবকিছুই ভারতের পক্ষেই ছিল। তারপরও আমি আমার লক্ষ্য পূরণে ছিলাম বদ্ধপরিকর। বিন্দ্রার মতো অলিম্পিক পদক জয়ী শ্যুটারের সঙ্গে লড়াই করতে পারাটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। দেশকে পদক এনে দিতে পেরে আমি খুশি। আশা করি ভবিষ্যতে আরো ভালো করতে পারবো।

এদিন সকালে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে পুরুষদের বাছাই পর্ব অতিক্রম চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেন বাকী । ৬ পর্বের ওই লড়াইয়ে ৬২০ স্কোর করে ৫ম অবস্থান নিয়ে চূড়ান্ত পর্বে নাম লেখান তিনি।

পদক প্রাপ্তির পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে স্যুটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইন্তেখাবুল হামিদ অপু বাসসকে বলেন, বাকীর ওপরই আমাদের সব আশা ভরসা ছিলো। তিনি রৌপ্য পদক পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। তিনি আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশী অর্জন করেছেন।

আরমিনকে নিয়েও আমরা খুব একটা আশা করিনি। তাই সে আজ যেটুকু করেছে তাতেও আমরা বেশ খুশি। সে সেরা আটে ঢুকতে পেরেছে সেটাই আমাদের জন্য প্রাপ্তি।

এই ফলাফলের মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে আমরা আমাদের শ্যুটারদের যে প্রশিক্ষণটুকু দিচ্ছি তা সঠিক। আশা করছি আগামী অলিম্পিকেও পদক জয় করতে পারবো।
তিনি বলেন এই পুরো দলটিই আগামী সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় শুরু হতে যাওয়া এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করবে। সেখানেও আমাদের প্রধান ভরসা বাকী। পুরুষদের এয়ার রাইফেল ইভেন্টকেই আমরা বেশী জোর দিচ্ছ।’

(ওএস/পি/জুলাই ২৬, ২০১৪)