রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় আধিবাসী সম্পদায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের দাড়িয়ে রেখেই আলোচনা শুরু ও শেষ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠান স্থলে আসার সাথে সাথেই পরিষদ হলরুমের গোল টেবিলের মাঝের ফাঁকা স্থানে দশম ও একাদশ শ্রেণীর দশজন করে বিশজন শিক্ষার্থী দুই লাইনে দাড়িয়ে পড়েন এবং অজ্ঞাত কারনেই তারা সেখানে আলোচনা সভার সমাপ্তি পর্যন্ত দাড়িয়ে থাকেন।

এ নিয়ে সভা কক্ষে ও বাইরে অভিভাবকদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা করতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের এভাবে দাড়িয়ে রাখায় কেউ কেউ আবার নিজেদের মধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় হতে বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা শীর্ষক কর্মসুচির অংশ হিসেবে এর আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। এতে পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাও জেলা প্রশাসক ড.কে এম কামরুজ্জামান সেলিম। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের ভালভাবে পড়াশুনা করার তাগিদ দিয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এবং দশজন শিক্ষার্থীর বাড়ী নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশুতি দিয়ে তালিকা নেন।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না সরকারের উন্নয়নমুলক কাজের ভুয়সী প্রশংসা করে বলেন, আমাদের উপজেলায় একটি ফায়ার সার্ভিস হয়েছে কিন্তু এর ভবনের রং উঠে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম এখনও শুরু হয় নি। তাই তিনি জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আর্কষণ করে ফায়ার সার্ভিসটি দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নিতে বলেন।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান শেফালী বেগমসহ অনেকে। আরোও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি সোহাগ চন্দ্র সাহাসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরদ্বয় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ।

আলোচনা শেষে শিক্ষা বৃত্তি ও উপকরণ বিতরনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড.কে এম কামরুজ্জামান সেলিম। এ উপজেলায় মোট ৯৩৪ জন নার্সারী থেকে মার্ষ্টাস পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

(কেএএস/এসপি/মে ১৬, ২০১৯)